কুলটি, 11 জুন : সমাজে ওরা ব্রাত্য । ওদের কথা কেউ ভাবে না । আর এই করোনা পরিস্থিতিতে আরও যেন অথৈ জলে পড়েছে ওরা । করোনা আক্রান্ত হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন, চিকিৎসাই বা কী করে পাবেন । সে বিষয়েও অজ্ঞ তারা । ওরা কুলটির চবকা যৌনপল্লির যৌনকর্মী । এবার সেই অসহায় মানুষগুলোর কথা ভেবে যৌনপল্লিতে সেফহোম তৈরি করার উদ্যোগ নিলেন আসানসোলের শিক্ষক এবং চিকিৎসকরা । ইতিমধ্যেই এই সেফ হোম তৈরি হয়েছে । সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং কনসেনট্রেটরের । রয়েছেন চিকিৎসকও ।
কুলটির চবকা অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র যৌনকর্মীরা বাস করেন । তার উপরে এই লকডাউনে উপার্জনহীন তাঁরা । যদিও গত বছর মার্চ মাস থেকে এই যৌনপল্লিতে কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শিক্ষক চন্দ্রশেখর বন্ধু । তিনি ও আরও কয়েকজন সমাজকর্মী মিলে এখানে কমিউনিটি কিচেন শুরু করেছিলেন । অন্ততপক্ষে দু'বেলা খেতে পান যৌনকর্মীরা । পেটের জ্বালা কিছুটা হলেও মিটেছে । চন্দ্রশেখরবাবুই প্রথম ভেবেছিলেন এখানকার মানুষ করোনা আক্রান্ত হলে তারা কোথায় যাবেন । কারণ ওই পাড়ায় বেশ কয়েকজন এইচআইভি রোগী এবং অন্যান্য রোগী রয়েছেন । অন্যদিকে, সেখানে করোনা হলে গোষ্ঠী সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে । আর তাই চন্দ্রশেখর বাবুর মাথাতেই প্রথম আইসোলেশন সেন্টার তৈরির ভাবনা আসে । তার জন্য ঘর জোগাড় করেন । তৈরি করেন ছয় শয্যাবিশিষ্ট সেফ হোম ।
এরপর চন্দ্রশেখর বাবুর আহ্বানে এগিয়ে আসেন ইএসআই হাসপাতালের সুপার অতনু ভদ্র, আসানসোলের ইসিএলের হাসপাতালের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী উৎপল পান্ডা সহ অন্যান্য । ইতিমধ্যে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও কনসেনট্রেটর কেনা হয়েছে । করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে ।