পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

শিক্ষক ও চিকিৎসকদের উদ্যোগে সেফ হোম কুলটির নিষিদ্ধ পল্লিতে

গত বছর মার্চ মাস থেকে কুলটির যৌনপল্লিতে কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শিক্ষক চন্দ্রশেখর বন্ধু । এদের জন্য তাঁর মাথাতেই প্রথম সেফ হোম তৈরির কথা মাথায় আসে । এরপর তাঁর এই উদ্যোগে এগিয়ে আসেন চিকিৎসকরা ।

কুলটির নিষিদ্ধ পল্লিতে শিক্ষক ও চিকিৎসকদের উদ্যোগে তৈরি হল সেফহোম
কুলটির নিষিদ্ধ পল্লিতে শিক্ষক ও চিকিৎসকদের উদ্যোগে তৈরি হল সেফহোম

By

Published : Jun 11, 2021, 12:39 PM IST

Updated : Jun 11, 2021, 10:34 PM IST

কুলটি, 11 জুন : সমাজে ওরা ব্রাত্য । ওদের কথা কেউ ভাবে না । আর এই করোনা পরিস্থিতিতে আরও যেন অথৈ জলে পড়েছে ওরা । করোনা আক্রান্ত হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন, চিকিৎসাই বা কী করে পাবেন । সে বিষয়েও অজ্ঞ তারা । ওরা কুলটির চবকা যৌনপল্লির যৌনকর্মী । এবার সেই অসহায় মানুষগুলোর কথা ভেবে যৌনপল্লিতে সেফহোম তৈরি করার উদ্যোগ নিলেন আসানসোলের শিক্ষক এবং চিকিৎসকরা । ইতিমধ্যেই এই সেফ হোম তৈরি হয়েছে । সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং কনসেনট্রেটরের । রয়েছেন চিকিৎসকও ।

কুলটির চবকা অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র যৌনকর্মীরা বাস করেন । তার উপরে এই লকডাউনে উপার্জনহীন তাঁরা । যদিও গত বছর মার্চ মাস থেকে এই যৌনপল্লিতে কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শিক্ষক চন্দ্রশেখর বন্ধু । তিনি ও আরও কয়েকজন সমাজকর্মী মিলে এখানে কমিউনিটি কিচেন শুরু করেছিলেন । অন্ততপক্ষে দু'বেলা খেতে পান যৌনকর্মীরা । পেটের জ্বালা কিছুটা হলেও মিটেছে । চন্দ্রশেখরবাবুই প্রথম ভেবেছিলেন এখানকার মানুষ করোনা আক্রান্ত হলে তারা কোথায় যাবেন । কারণ ওই পাড়ায় বেশ কয়েকজন এইচআইভি রোগী এবং অন্যান্য রোগী রয়েছেন । অন্যদিকে, সেখানে করোনা হলে গোষ্ঠী সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে । আর তাই চন্দ্রশেখর বাবুর মাথাতেই প্রথম আইসোলেশন সেন্টার তৈরির ভাবনা আসে । তার জন্য ঘর জোগাড় করেন । তৈরি করেন ছয় শয্যাবিশিষ্ট সেফ হোম ।

এরপর চন্দ্রশেখর বাবুর আহ্বানে এগিয়ে আসেন ইএসআই হাসপাতালের সুপার অতনু ভদ্র, আসানসোলের ইসিএলের হাসপাতালের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী উৎপল পান্ডা সহ অন্যান্য । ইতিমধ্যে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও কনসেনট্রেটর কেনা হয়েছে । করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে ।

আরও পড়ুন,যৌনকর্মীদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিল পুলিশ

চন্দ্রশেখর কুণ্ডু জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে । যাতে কারও অক্সিজেন প্রয়োজন হলে অক্সিজেন পান এবং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন । হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগের ধাপ পর্যন্ত আমরা এখানে চিকিৎসা দিতে পারব । সে জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ ।

অন্যদিকে, আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের সুপার অতনু ভদ্র জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ঢেউ কোনও রকমে পার করা গিয়েছে । কিন্তু তৃতীয় ওয়েভের আগেই আমরা তৈরি থাকলাম । যাতে তৃতীয় ওয়েভে কেউ আক্রান্ত হলে তাদের সেফ হোমে রেখে চিকিৎসা করা যেতে পারে ।

Last Updated : Jun 11, 2021, 10:34 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details