আসানসোল, 1 জুন :আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে দুর্গাপুরের বিশেষ কোভিড হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়া হল 17 হাজার টাকা । শুধু তাই নয় অক্সিজেন বেলুন মাস্কের জন্য আরও 500 টাকা নেওয়া হয় ওই কোভিড আক্রান্ত রোগীর পরিবারের থেকে । রোগী বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন । তারপরেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে আজ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই অ্যাম্বুলেন্স মালিকের নামে ।
সালানপুর রূপনারায়নপুরের বাসিন্দা সমাজকর্মী শুভদীপ সেন । করোনাকালে প্রচুর দুঃস্থ মানুষের পাশে থেকেছেন শুভদীপ । কিন্তু তাঁর নিজের পরিবারে যখন কোভিডের সংক্রমণ হল, তখন তিনিই প্রতারণার শিকার হলেন ।
16 মে আসানসোল জেলা হাসপাতালে শুভদীপ সেনের বাবা কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয় । কিন্তু সেই দিনই চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন উন্নততর চিকিৎসার জন্য শুভদীপের বাবাকে দুর্গাপুরের বিশেষ কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে । সেক্ষেত্রে বিশেষ লাইফ সাপোর্ট দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন । আসানসোলের একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স এজেন্সির থেকে শুভদীপ সেই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে শুভদীপের কাছে 17 হাজার টাকা চাওয়া হয় ।
100 কিলোমিটার যাতায়াতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া 17 হাজার টাকা আসানসোল থেকে দুর্গাপুরের আসা-যাওয়া দূরত্ব 100 কিলোমিটারের বেশি নয় । আর সেই দূরত্ব যেতে ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক 17 হাজার টাকা চায় বলে অভিযোগ । কিন্তু বাবার শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে শুভদীপ 17 হাজার টাকাই পেমেন্ট করে ওই অ্যাম্বুলেন্স চালককে ।
শুধু তাই নয় এরপরেও অক্সিজেন বেলুন মাস্কের জন্য আরও 500 টাকা শুভদীপের কাছে ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক নেয় বলে অভিযোগ । শুভদীপ অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছ থেকে বিল নিয়েছে এবং তাতে উল্লেখ রয়েছে 17 হাজার টাকা ভাড়ার কথা ।
শুভদীপ বাবার চিকিৎসা নিয়ে এতদিন ব্যস্ত ছিলেন । বাবা ফিরে আসার পরেই তাই শুভদীপ সেন আজ আসানসোলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে এই প্রতারণার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন । শুভদীপ জানিয়েছেন, "এমন ঘটনা যাতে আর কারও সঙ্গে না ঘটে সেই কারণে আমি প্রতিবাদ করলাম এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছি । যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে জানাব ।"
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা সংবাদমাধ্যমকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়।