আসানসোল, 13 ফেব্রুয়ারি: বেআইনি কয়লাপাচার কাণ্ডে রত্নেশ বর্মাকে 14 দিনের জেল হেফাজতে পাঠালেন (Ratnesh Verma Sent to Jail Custody) আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। সোমবার রত্নেশ বর্মাকে (Ratnesh Verma) আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়। রত্নেশ বর্মার আইনজীবী এদিন তাঁর জামিনের জন্য কোনও আবেদন করেননি। সেই কারণে সওয়াল-জবাব হয়নি। সিবিআই'ও রত্নেশ বর্মাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়নি। বিচারক তাই রত্নেশ বর্মাকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠান। এই জেল হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআই রত্নেশ বর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানা গিয়েছে ৷
গত 31 জানুয়ারি আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রত্নেশ বর্মা (Ratnesh Verma Surrenders in Coal Smuggling Case)। প্রথমে তাকে জেলে পাঠানো হয়। 2 ফেব্রুয়ারি ফের কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাকে সিবিআই হেফাজতে পাঠান। সোমবার সেই সিবিআই হেফাজত শেষ হওয়ার পর পুনরায় রত্নেশ বর্মাকে আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়। রত্নেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, কয়লাপাচার সংক্রান্ত পরিবহণের কাজ এবং লিংক ম্যানের কাজ করতেন।
বিভিন্ন জেলায় বেআইনি কয়লাপাচার সংক্রান্ত যোগসাজশ, ইসিএল কর্তাদের সঙ্গে কয়লা মাফিয়াদের যোগসূত্র গড়ে তোলা, তাদের কাছে টাকা পৌঁছনো থেকে শুরু করে আরও নানান সুবিধা পাইয়ে দেওয়া এই কাজগুলি রত্নেশের দ্বারা পরিচালিত হত বলে খবর। রত্নেশের কাছে ইতিমধ্যেই একটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে। তাতে নাম মিলেছে প্রভাবশালীদের। পাশাপাশি সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন রত্নেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য পেয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন:কয়লাকাণ্ডে সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় পুলিশ ও আইএএস কর্তারা
এদিন শুনানিতে বেআইনি কয়লা মামলায় অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার নাম উঠে আসে। বিচারক সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান লালার কী স্ট্যাটাস? সিবিআই বিচারককে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ আর মাত্র 7 দিন রয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের যে মামলা চলছে তার সঙ্গে আরও 9টি নতুন মামলা যুক্ত হয়েছে। সেই মামলাগুলি রাজ্য প্রশাসন থেকে শুরু করে ইসিএলের করা। সোমবার রত্নেশের জন্য কোনও জামিনের আবেদন করেননি তার আইনজীবী। বিচারক সেই কারণে রত্নেশকে আগামী 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠান। পাশাপাশি সিবিআই আবেদন করে জেলের মধ্যে যাতে তারা রত্নেশ বর্মাকে জেরা করতে পারে, বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।