রানিগঞ্জ, 17 মার্চ : কোরোনার প্রভাব এবার গ্রামবাংলার যাত্রা শিল্পেও ৷ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন যাত্রা ব্যবসায়ীরা ৷ সকাল থেকে প্রতিদিনই প্রায় ফাঁকা যাত্রা বুকিং কাউন্টারগুলি ৷ গ্রামাঞ্চলে অতি প্রাচীন মনোরঞ্জনের জায়গা ছিল 'যাত্রাপালার' ৷ চলচ্চিত্র জগতের নায়ক-নায়িকাকে দেখার জন্য এখনও গ্রামাঞ্চলে মানুষের ভিড় জমে যাত্রা দেখতে ৷
দক্ষিণবঙ্গ সহ ভিন রাজ্যেও 'যাত্রাপালা' দেখার জন্য চাহিদা রয়েছে ৷ সেই যাত্রা শিল্পে এবার প্রভাব পড়েছে কোরোনার ৷ রানিগঞ্জের দু' নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে রানিসায়ের মোড়ে একাধিক যাত্রা বুকিং কাউন্টার রয়েছে ৷ সেই যাত্রা বুকিং কাউন্টারগুলি এখন ফাঁকা ৷ কোরোনা আতঙ্কে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি না দেওয়ায় যাত্রা বুকিং করেও বাতিল করতে হচ্ছে ৷ ফলে যাত্রা বুকিং কাউন্টারগুলির ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ৷
যাত্রাপালা বুকিং কাউন্টারের ব্যবসায়ী ভক্তি মাহাতো বলেন, " কোরোনা ভাইরাসের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে যাত্রা শিল্পে । গ্রামাঞ্চলে এই সময় বাসন্তী পুজা ও গাজন মেলা উপলক্ষে যাত্রা পালার বুকিং করার জন্য আসে লোকজন । কিন্তু কোরোনার প্রভাবে 50 জনের বেশি জমায়েতে পুলিশ প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে না ৷ ফলে যাত্রাপালা বুকিং করে গেলেও আবার বাতিল করতে আসছে তারা । বর্ধমান আরামবাগ থেকে যাত্রাপালার জন্য বুকিং করে যায় কয়েকজন ৷ কিন্তু আজ সকালে ফোনে বাতিল করে দেয় ।
যাত্রাপালা বুকিং কাউন্টারের মালিক মহেশ্বর তপাদার বলেন, " সামনেই গাজন মেলার উৎসব ৷ তখন অনেকেই যাত্রাপালার জন্য বুকিং করতে আসে । কিন্তু কোরোনা আতঙ্কের জেরে সেই বুকিং অনেকখানি কমে গেছে । গত বছর এই সময় যাত্রাপালা বুকিং অনেক হয়েছিল ৷ তার তুলনায় 80 শতাংশ কমে গেছে এই বছর । কোরোনা ভাইরাসের প্রভাবে অনেক ক্ষতি পড়েছে যাত্রা ব্যবসায় । প্রায় বন্ধের মুখে ৷
কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব গ্রামবাংলার যাত্রা শিল্পেও স্থানীয় বাসিন্দা জিতেন মন্ডল জানান, " 14 এপ্রিল গ্রামে গাজন মেলা উৎসব । গাজন মেলা উৎসব যাত্রাপালা বুকিং করার জন্য এসেছি । কিন্তু বুকিং নিচ্ছে না যাত্রা ব্যবসায়ীরা । গত 20 বছর ধরে চলে আসছে যাত্রাপালার অনুষ্ঠান গাজন মেলাতে । তবে এই বছর হবে না , কারণ কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক । "