চিত্তরঞ্জন, 28 ফেব্রুয়ারি: সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করতে নেমেছে রেল । এর ফলে রেলের জমি দখল করে থাকা বিভিন্ন খাটাল, বস্তি উচ্ছেদ (Railway eviction) করা হচ্ছে । বাদ যায়নি চিত্তরঞ্জন রেল শহর । রেল শহরের বিভিন্ন খাটাল এবং বস্তি উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । তবে এর ফল ভোগ করছে সরকারি স্কুলগুলি । বিভিন্ন খাটাল, বস্তি অঞ্চল থেকে যে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা সরকারি স্কুলে পড়তে আসত, তারা এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে । যার ফলে তলানিতে এসে ঠেকেছে চিত্তরঞ্জন রেলশহরের সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ।
চিত্তরঞ্জন শহরের একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলে অবস্থিত সিমজুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় (Students Reduced in Chittaranjan School)। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় অবস্থিত এই স্কুল কোনওভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে । খাতায় কলমে দেখানো হচ্ছে 32 জন ছাত্রছাত্রী । কিন্তু স্কুলে আসে 8 থেকে 10 জন । বাকিরা কোথায় কেউ জানে না ।
এলাকায় গিয়ে জানা গেল, চিত্তরঞ্জন শহরে যে বস্তি এবং খাটাল রয়েছে, সেই পরিবারগুলির ছাত্রছাত্রীরা মূলত এই স্কুলে পড়তে আসত । সম্প্রতি বেশ কয়েকটি খাটালকে উচ্ছেদ করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে । আর যার ফলে ওই পরিবারগুলি সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের মিহিজামের দিকে চলে গিয়েছে । ফলে অজয় নদ ডিঙিয়ে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ওই পাড় থেকে এই পাড়ে পড়তে আসছে না ।
খাটালের যত শিশু এখানে পড়তে আসত, তাদের একটা বৃহৎ অংশ চলে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে । বর্তমানে কয়েকটি বস্তির শিশু আসে । কিন্তু সেই বস্তিগুলিও উচ্ছেদ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে । ফলে আগামী দিনে আর এই সিমজুড়ি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী আসবে কি না, সেই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে শিক্ষিকাদের মনে ।