বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে শিলান্যাসে গেলেন না মন্ত্রী আসানসোল, 19 অগস্ট: আসানসোল পৌরনিগমের 15 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সেনব়্যাল এলাকায় একটি খেলার মাঠকে বাউন্ডারি দেওয়াল দেওয়ার কাজের শিলান্যাস করার কথা ছিল শনিবার। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদ (এডিডিএ)-এর অর্থানুকূল্যে ওই কাজের সূচনা হওয়ার কথা ছিল এদিন। উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের। কিন্তু স্থানীয় ন'ডিহা গ্রামের বাসিন্দারা অনুষ্ঠানের আগে থেকে এসে ওই এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বাসিন্দাদের দাবি ওই জমি তাঁদের, তাই রাজ্য সরকারকে বাউন্ডারি দেওয়াল দিয়ে ওই জমি ঘিরতে তাঁরা দেবেন না। বিক্ষোভের খবর শুনেই এলাকায় এলেন না মন্ত্রী। পণ্ড হল অনুষ্ঠান।
আসানসোলের সেনর্যাল এলাকায় একসময় গড়ে উঠেছিল বিশ্ববিখ্যাত সাইকেল কারখানা। স্থানীয় ন'ডিহা গ্রামের বাসিন্দাদের জমিতেই সেই সময় সাইকেল কারখানা গড়ে উঠেছিল। যদিও বাসিন্দাদের দাবি, সেই সময়কালের চুক্তিপত্র ছিল যদি কখনও কারখানা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে জমি ফেরত পাবেন গ্রামবাসীরা। বহু বছর আগেকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বভাবতই জমি ফেরত পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। সেই মামলা এখনও চলছে ।
এরইমধ্যে মন্ত্রী মলয় ঘটকের উদ্যোগেই এই মাঠটিকে নাকি বাউন্ডারি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে গ্রামবাসীদের দাবি। শনিবার সেই বাউন্ডারি দেওয়ালের শিলান্যাস হওয়ার কথা ছিল। শিলান্যাস ফলকে লেখা ছিল, এডিডিএ-এর অর্থানুকূল্যে এই বাউন্ডারি দেওয়ালটি তৈরি হচ্ছে। মন্ত্রী মলয় ঘটক ছিলেন অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি। কিন্তু এই কথা জানতে পেরেই গ্রামবাসীরা এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা স্পষ্ট বলেন, "তাঁদের দেওয়া জমিতে রাজ্য সরকারকে বাউন্ডারি দিতে তাঁরা দেবেন না। প্রয়োজনে তাঁরা প্রাণ দেবেন কিন্তু জমি ঘিরতে দেবেন না।"
গ্রামবাসীরা জানান, ওই জমিতে খেলাধুলো হয়, অন্যান্য অনুষ্ঠান হয় তাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু জমিটিকে ঘিরে ফেলতে দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এলেন না রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। যদিও এই বিষয়ে তাঁর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এনিয়ে, রাজ্য সরকারের এডিডিএ-এর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মন্ত্রী সাহেবের রিকুইজিশন অনুযায়ী আমরা টাকা মঞ্জুর করেছিলাম। আমরা কখনোই দেখতে যাই না মন্ত্রী সাহেব যে জমিটিতে বাউন্ডারি দেওয়াল দেওয়ার কথা বলেছেন সেই জমিটি আসলে কার। এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। আমরা মন্ত্রী সাহেবের কথাতেই সেখানে কাজটুকু করতে গিয়েছি ।"
আরও পড়ুন:রাজ্যের 350 কোটি টাকার 437 প্রকল্পের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, শিলান্যাস 1100 কোটির 246 প্রকল্পের