দুর্গাপুর, 3 নভেম্বর: দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের মহকুমা আদালত এবং এনআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নজিরবিহীনভাবে নবনিযুক্ত ডিরেক্টর অরবিন্দ চৌবের বিরুদ্ধে পোস্টারে চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর জুড়ে। আট দফা অভিযোগ এবং ডিরেক্টরের ছবি দিয়ে সেই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ৷ যদিও এবিষয়ে কিছু না বলে ডিরেক্টর বলেন, "আমার এসবে কিছু যায় আসে না। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়মমাফিক চালাতে এসেছি। ই-অফিস নিয়ম চালু করতে চাই।" তাহলে কি দুর্নীতি এই বিশ্ববিদ্যালয়েও, নবনিযুক্ত ডিরেক্টর কম্পিউটারে সব নথিভুক্ত করতে চাইছিলেন তাতেই কী তিনি মৌচাকে ঢিল ছুঁড়লেন, নন টিচিং স্টাফদের পুরানো প্যানেল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়াতেই কি এই পোস্টার, এমনই সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ৷
শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে দুর্গাপুর মহকুমা আদালত চত্বরে এবং ইন্দিরা সরণির পাশে এনআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নবনিযুক্ত ডিরেক্টর অরবিন্দ চৌবের বিরুদ্ধে পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপকদের সম্মান দেওয়ার দাবি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। ডিরেক্টরের ছবি দিয়ে 'অরবিন্দ চৌবে গো ব্যাক' লেখাও দেখা গিয়েছে পোস্টারে। এমটেক এবং পিএইচডি ছাত্র-ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড দেওয়া হচ্ছে না এই মর্মে অভিযোগ তোলা হয়।
100টিরও বেশি শূন্য পদ তৈরি হয়েছে অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে। অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের জন্য তৈরি প্যানেল এই ডিরেক্টর বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে সেই পোস্টারে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দুর্নীতি বাসা বেধেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ? আর সেই কারণেই কি ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে এই পোস্টার ? উত্তরে অরবিন্দ চৌবে বলেন, "আমি সামনের দিকে হাঁটছি। তাই পিছনে কে কী বলছে আমি তাতে আমল দিই না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে অপরের বিরোধিতা করে কথা বলেন। এটা অনেকটা তার মত।"