আতঙ্কের মধ্যেই আশায় বুক বাঁধছেন বাবা-মা দুর্গাপুর, 12 অক্টোবর: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে দুর্গাপুরের মেয়ে। চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাবা, মায়ের। বোমা, গুলি, আর রকেট হামলায় প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। আটকে রয়েছে এখনও বহু মানুষ। যুদ্ধের কবলে পড়ে দুর্গাপুরের মনশ্রী-সহ বাঙালি একাধিক পড়ুয়াও এখন উদ্বেগের মধ্যেই কখনও বাঙ্কারে, কখনও হস্টেলে দিন কাটাচ্ছেন। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি ঘটল ইজরায়েল ও হামাস যুদ্ধে।
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বেঙ্গল আম্বুজ্জার মনশ্রী চট্টপাধ্য়ায় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পোস্ট ডক্টরেট নিয়ে ইজরায়েলের তেল আভিভ শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হন। কয়েক মাস আগে বাড়ি ফিরেও এসেছিলেন আবার সেখানে পৌঁছন। ছ'দিন আগে আচমকা ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় হামাস। বাজে যুদ্ধের ঘণ্টা। মৃত্যু হয় হাজার হাজার মানুষের। পালটা হামাসের উপর হামলা চালায় ইজরায়েল সেনাবাহিনী। দুই দেশের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধে উদ্বেগ বাড়ছে দুই দেশে বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন:যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে হুগলির 3 গবেষক, দুশ্চিন্তায় পরিবার
ভারতীয় বহু নাগরিক কর্মসূত্রে ও পড়াশোনার তাগিদে ইজরায়েলে গিয়েছেন। তাঁরাও যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে রয়েছেন। দুর্গাপুরের মনশ্রীর বাবা-মা মনশ্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেও তাঁরা আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষাতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ঘনঘন যোগাযোগ রাখছে ইজরায়েল বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে। ভারতীয় পড়ুয়াদের এবং নাগরিকদের নিরাপদে এদেশে ফিরিয়ে আনতে ভারত সরকার শুরু করল 'অপারেশন অজয়' চার্টার উড়ান।
ভারতীয় নাগরিকদের এবং পড়ুয়াদের নিরাপদেই এদেশে ফিরিয়ে আনবে অপারেশন 'অপারেশন অজয়' চার্টার বিমান বলেও আশাবাদী ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বেঙ্গল অম্বুজার সুশান্ত কুমার চট্টোপাধ্যায় ও বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ও চাইছেন তাঁদের মেয়ে মনশ্রী চট্টোপাধ্যায়ও নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হোক এই দেশে। সুশান্ত কুমার চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ভারতীয় পড়ুয়াদের যেভাবে নিরাপদে এদেশে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁর মেয়েকেও এনে দিক সরকার ৷
আরও পড়ুন:'ছেলে নিরাপদ জেনে অনেকটাই নিশ্চিন্ত' ইজরায়েলে আটকে থাকা বাঙালি গবেষকের মা