দুর্গাপুর, 3 জানুয়ারি: বাড়িতে ঢুকে ভরদুপুরে তিনজনকে খুন করল দুষ্কৃতী । অথচ বাড়িতে থাকা দু’টি পোষ্য বিদেশি কুকুর কেন চিৎকার করল না ? গত বছরের 10 নভেম্বর পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের কাঁকসার সারদাপল্লির এই খুনের তদন্তে নেমে এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা । তাহলে কি যে এসেছিল, তাকে চেনে এই দুই সারমেয় ? এই প্রশ্নের উত্তরেই লুকিয়ে ছিল সূত্র ! শেষমেশ তিনজনের খুনের ঘটনায় ওই বাড়িতেই এতদিন থাকা খুন হওয়া সিমরনের কাকিমাকে গ্রেফতার করল কাঁকসা থানার তদন্তকারীরা । ধৃতকে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাঁকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
খুনের ঘটনার কয়েকদিন আগে সারদাপল্লির ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা সস্ত্রীক অসমে গিয়েছিলেন তাঁর বড় মেয়ের বাড়িতে । বাড়িতে ছিল ছোট মেয়ে সিমরন, ধনঞ্জয়ের শাশুড়ি সীতাদেবী ও শ্যালকের ছেলে সনু বিশ্বকর্মা । তাঁদের শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । ধনঞ্জয়ের ভাই রাজু দাবি করেন, তিনি বিশেষ কাজে ইলামবাজারে গিয়েছিলেন । স্ত্রীর মুখে শোনেন, হেলমেট পরে বাইক নিয়ে কেউ এসেছিল ধনঞ্জয়ের বাড়িতে । আবার হেলমেট পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইক নিয়ে চলে যায় ৷ এরপরই তাঁর স্ত্রী গিয়ে দেখতে পান সিমরন ও সীতাদেবীর দেহ পড়ে আছে দু’টি বিছানায় । সোনুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে বাড়ির উঠোনে ।
মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেন । তদন্ত শুরু করে পুলিশ । শেষ পর্যন্ত বুধবার সিমরনের কাকিমাকে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের একজনের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে ছিল । সেই সম্পর্কের কথা সিমরন জানতে পেরে যায় । কাকিমার মোবাইলে বিশেষ 'অ্যাপ' ঢুকিয়ে দিয়ে কাকিমার গতিবিধি জানতে থাকে সিমরন । সেই কথা পরে জানতে পেরে যায় রিঙ্কু । সিমরনের দু’টি মোবাইল ফোন খুনি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহ আরও তীব্র হয় পুলিশের ।