আসানসোল, 17 জুন: আসানসোল কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্রজেশ্বর দাস খুনের ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষের পথে ৷ পুলিশ এই ঘটনায় ব্রজেশ্বর দাসের স্ত্রী শম্পা দাস, ব্রজেশ্বরের শ্বশুর তারকনাথ দাস এবং শম্পার প্রেমিক মনোজ যাদবকে গ্রেফতার করেছে ৷ তাঁদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে ৷ হাড়হিম করা এই খুনের ঘটনার তদন্তে যত গভীরে পুলিশ গিয়েছে, ততই চমকে গিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ সাধারণ গৃহবধূ ও অবসরপ্রাপ্ত শ্বশুর কীভাবে এই ঘটনা ঘটালেন ? তা ভেবেই তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা ৷
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের এসিপি সেন্ট্রাল দেবরাজ দাস জানিয়েছেন, গত 10 জুন আইনজীবী ব্রজেশ্বর দাস নিজের ফ্ল্যাটে ফেরেন ৷ তিনি বাইরে গিয়েছিলেন ৷ সকাল 11টায় ফ্ল্যাটে ফেরার পর আসানসোল কোর্টের একটি পার্টিতে চলে যান ৷ সেখান থেকে ফেরেন বিকেল 4টের সময় ৷ ফ্ল্যাটে ফিরে দেখেন তাঁর ফ্ল্যাটে শ্বশুর এবং শাশুড়ি এসেছেন ৷ কিন্তু, বাড়িতে ফেরার পর স্ত্রী শম্পা দাসের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয় ৷ বিকেল পাঁচটা নাগাদ সেই বচসা চরম আকার নেয় ৷ যেখানে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷
ঠিক সেই সময়েই ব্রজেশ্বরের শ্বশুর তারকনাথ দাস তাঁকে চড় মারেন বলে অভিযোগ ৷ সেই চড়ের জেরে অচৈতন্য হয়ে ব্রজেশ্বর মেঝেতে পড়ে যান ৷ এরপর ঘাড়ের কাছে বেশ কয়েকবার লাথি মারেন তারকনাথ ৷ অভিযোগ এর ফলে সেখানেই ব্রজেশ্বরের মৃত্যু হয় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ব্রজেশ্বর মারা গিয়েছেন দেখে শ্বশুর তারকনাথ বাজারে গিয়ে দড়ি কিনে নিয়ে আসেন ৷ দেহটিকে বেঁধে বস্তার মধ্যে ভরে দেন ৷ তারপর একটি ভাড়ার গাড়িতে শম্পা এবং তাঁর বাবা বেরিয়ে পড়েন ৷ তাঁরা কাজোড়ায় তারকনাথের ইসিএল আবাসনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷ পথে জামুরিয়া নিঘাতে একটি পেট্রোল পাম্পে 350 টাকার পেট্রল কেনন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন:পুকুর-নদী থেকে উদ্ধার আইনজীবীর দেহাবশেষ, অভিযুক্ত শ্বশুরকে নিয়ে খুনের পুনর্নির্মাণ