দুর্গাপুর, 17 মার্চ: হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ফিশচুলার অস্ত্রোপচার করাতে ৷ সেই তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হাসপাতালের শৌচালয়ে (Patient Hanging Body Recovered) ! ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে (Durgapur Sub Divisional Hospital) ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সীতারাম সাউ ৷ বয়স 50 বছর ৷ দুর্গাপুরেরই গোপাল মঠ এলাকার বাসিন্দা সীতারামকে গত 14 মার্চ হাসপাতালে ভরতি করে গিয়েছিলেন তাঁর এক আত্মীয় ৷ পুরুষ শল্য বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি ৷
নিয়ম অনুসারে, হাসপাতালে বেশ কয়েকবার চিকিৎসাধীন রোগীদের 'মাথা গোনা' (Head Counting) হয় ৷ হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মণ্ডল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন মাথা গোনা হয়েছিল, তখন পর্যন্ত সীতারাম তাঁর ওয়ার্ডে এবং শয্যায় ছিলেন ৷ কিন্তু, রাতে মাথা গোনার পর দেখা যায়, একজন রোগী কম রয়েছেন ৷ বোঝা যায়, সীতারাম তাঁর শয্যায়, এমনকী ওয়ার্ডেও নেই ৷ এরপরই সীতারাম সাউয়ের খোঁজে হাসপতালালে তল্লাশি শুরু হয় ৷ শেষমেশ শৌচালয়ে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ ! হাসপাতাল সুপারের দাবি, গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সীতারাম ৷
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ কারণ, এর আগেও বেশ কয়েকবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে রোগী উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুপার জানান, তাঁদের হাসপাতালে নজরদারির কোনও অভাব নেই ৷ ওয়ার্ডে সবসময় নজরদারি থাকে ৷ কিন্তু, কোনও রোগী শৌচালয়ে গেলে সেখানে তিনি কী করছেন, সেটা দেখা সম্ভব নয় ৷ এদিকে, হাসপাতালের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের 25 নম্বর শয্য়ায় ভরতি ছিলেন সীতারাম ৷ বৃহস্পতিবার রাত 11টা 40 পর্যন্ত কেউ তাঁর খোঁজ করেনি ৷ অথচ, তিনি তাঁর শয্যায় ছিলেন না !