দুর্গাপুর ,14 এপ্রিল : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিকা জারি করেছেন সবাইকে নাক-মুখ ঢেকে বের হতে হবে । সেই নির্দেশিকাকে কার্যকর করতে এবার বদলে গেল স্লোগান । কাঁকসা থানা এলাকার পানাগড়ের পেট্রল পাম্পগুলিতে বড় বড় করে লিখে দেওয়া হয়েছে "নো মাস্ক , নো পেট্রল "। কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই নয়া নিয়মের প্রচলন করা হয়েছে পেট্রোলপাম্পে ৷ এমনটাই জানালেন পানাগড় পেট্রল পাম্পের কর্মীরা । সচেতন গ্রাহকরাও এই নির্দেশিকাকে মেনে নিয়েছে ।
একসময় পথ দুর্ঘটনা কমাতে বাইক আরোহীরা যাতে মাথায় হেলমেট পরেন তার জন্য পেট্রোল পাম্পগুলিতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল ,"নো হেলমেট , নো পেট্রল " । তাতে কিন্তু সমাজে অনেকটাই সচেতনতা এসেছে । ইচ্ছের বিরুদ্ধে হলেও বহু মানুষকে হেলমেট পরতে দেখা যাচ্ছে । বিশেষ করে পাম্পে তেল ভরতে যাওয়ার সময় । কিন্তু সাম্প্রতিক মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ কোরোনা ভাইরাস ৷ সেই কারণে এই স্লোগান বদলে ফেলল পানাগড়ের বেশ কয়েকটি পেট্রল পাম্প । তাদের নতুন স্লোগান ,"নো মাস্ক, নো পেট্রোল"। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন বাইরে নাক ,মুখ না ঢেকে বেরোনো যাবে না । অন্ততপক্ষে, মাস্ক যদি নাও পান, কাপড় দিয়েও নাক মুখ ঢেকে বাইরে বের হতে হবে । না হলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।
"নো মাস্ক , নো পেট্রল", সচেতনতা পানাগড়ে - কোরোনাভাইরাস খবর
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন বাইরে নাক ,মুখ না ঢেকে বেরোনো যাবে না । তাই নাক , মুখ না বেঁধে বের হলে তাকে আর পেট্রোল দেওয়া হবে না ৷ পানাগড়ের কয়েকটি পেট্রল পাম্পে এই নির্দেশিকা জারি করা হল ৷ এর আগে হেলমেট পরার জন্য স্লোগান দেওয়া হয়েছিল "নো হেলমেট , নো পেট্রল" ৷ আর এবার কোরোনা পরিস্থিতিতে সেই স্লোগান পরিবর্তন করা হল ৷
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত সেই তত্ত্বকে মেনেই পানাগড়ের বেশ কিছু পেট্রোলপাম্পে নাক, মুখ ঢাকা না থাকলে তাকে পেট্রল দেওয়া হবে না বলে লিখিত আকারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । সাধন মণ্ডল নামে পেট্রোল পাম্পের এক কর্মী বলেন ," মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করছি । কারণ এই ভাইরাস ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে । আমাদের সবাইকে সাবধান এবং সচেতন হতে হবে । তাই আমরা বড় করে লিখে দিয়েছি, "নো মাস্ক , নো পেট্রোল "। এখন যদি নাক, মুখ ঢাকা না থাকে তাহলে কিছুতেই আমরা পেট্রল দেব না ।
পেট্রল পাম্পে আসা এক গ্রাহক সৌমিত চক্রবর্তী বলেন ,"অত্যন্ত ভালো পদক্ষেপ । বহু মানুষ এখনও সচেতন হয়নি । তাদের সচেতন করতে এই ভাবেই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে । কারণ এই ভাইরাস যেভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে । তাতে এইসব পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন আছে । আর আমরা তা মেনে নিতে বাধ্য ।"