আসানসোল , 22 জুন : বিরল কাওয়াসাকি রোগ থেকে শিশুকে বাঁচালেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ৷ এই প্রথম জেলাস্তরের কোনও সরকারি হাসপাতালে এতবড় সাফল্য পাওয়া গেল বলে দাবি আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ৷ আপাতত বছর দেড়েকের শিশুটি বাড়িতে সুস্থ আছে বলে জানালেন শিশুটির চিকিৎসক ৷
আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, 10 দিন আগে, আসানসোলের বুধা গ্রামের বাসিন্দা রনবীর প্রসাদ সাউয়ের এক বছরের ছেলে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়। শিশুটির হাত-পা লাল হয়ে উঠেছিল। পেট ফুলে যাচ্ছিল। হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রুদ্রনীল লাহিড়ির তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই হৃদযন্ত্রের জটিল অস্ত্রপচার করেই পিজি থেকে ফিরেছে ওই শিশু। চিকিৎসা করতে গিয়ে চিকিৎসকের সন্দেহ হয় শিশুটি বিরল রোগ কাওয়াসাকিতে আক্রান্ত হয়েছে।
তবে এই রোগের সঠির নির্ণয় করতে গেলে প্রয়োজন ইকো কার্ডিয়োগ্রাফি ৷ কিন্তু জেলা হাসপাতালে সেই পরিকাঠামো নেই ৷ কিন্তু এখানেই সপ্তাহে দু'দিন করে আসেন পিজির বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ঈশিতা মজুমদার ৷ শেষ পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসক যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে ৷ তাঁর তত্ত্বাবধানেই করা হয় ইকো কার্ডিয়োগ্রাফি ৷ শিশুটির যে কাওয়াসাকি রোগই হয়েছে , সেব্যাপারে নিশ্চিত হন রুদ্রনীল ৷ সেইমতো শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয় ৷
আরও পড়ুন :একাধিক টেস্টের রিপোর্টেও অধরা বিরল ক্যান্সার, চিকিৎসকদের সন্দেহে প্রাণরক্ষা বৃদ্ধার
শিশুটির চিকিৎসক রুদ্রনীল লাহিড়ী জানিয়েছেন , প্রথমে শিশুটির হৃদযন্ত্রের জটিল অপারেশন হয় ৷ তারপরই এমন কঠিন রোগ ৷ আসানসোল জেলা হাসপাতালের মতো পরিকাঠামোয় শিশুটিকে সুস্থ করে তোলা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল ৷ শিশুটির হার্টফেল পর্যন্ত হতে পারত ৷ দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা করে বিপদ এড়ানো গিয়েছে ৷ আপাতত সে সুস্থ আছে ৷ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে ৷