পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ, অনুমান ঋণ শোধের আতঙ্কে আত্মহত্যা

42 দিন ধরে চলছে লকডাউন ৷ বন্ধ রয়েছে দোকান ৷ বাড়ছে ঋণ ৷ অনুমান, আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন কাঁথির এক জুতো ব্যবসায়ী ৷

contai
লকডাউন

By

Published : May 5, 2020, 4:14 PM IST

কাঁথি , 5 মে : তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়ে গেছে ৷ 42 দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ৷ মাথায় হাত ছোটো ব্যবসায়ীদের ৷ বন্ধ হয়েছে রোজগার ৷ ক্রমেই বাড়ছে ঋণের বোঝা ৷ এরই মাঝে 57 বছরের জুতো ব্য়বসায়ী কনক মাইতির ঝুলন্ত দেহ মিলল। ঋণেরবোঝা মেটানোর কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান এমনই৷ ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার মহিষগোট গ্রামে ।

মহিষগোট গ্রামের বাসিন্দা কনক মাইতির কাঁথি শহরের শ্রীরূপা সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় একটি জুতোর দোকান চালান। আর এই জুতো দোকান করতে আগে থেকেই তিনি অনেক ঋণ নিয়েছিলেন । আস্তে আস্তে দেনা শোধও করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এই লকডাউনের জন্য 42 দিন ধরে বন্ধ রয়েছে তাঁর জুতোর দোকান । যার জেরে তিনি ভেঙে পড়েন। অনুমান, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের বাড়ির ছাদে ঝুলে পড়েন। সকালে পরিবারের লোকেরা দেখতে পেয়ে কাঁথি থানায় খবর দেয় ।

দাদার মৃত্যু নিয়ে ভাই অশোক মাইতি বলেন," অনেক ধার দেনা করে দোকান করেছিলেন । এই ব্যবসা থেকেই কোনও রকম ভাবে সংসার চলত। শোধ করতে হয়ছিল ঋণও । কিন্তু হঠাৎ এই লকডাউন হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দোকান বন্ধ রয়েছে । তাই বেশ কয়েকদিন ধরে দাদা দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। এত ধারদেনা করে দোকান করার পরও আবার দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়াতে তিনি মানসিক শান্তি পাচ্ছিলেন না ৷ ভুগছিলেন মানসিক অবসাদেও ৷ বেড়ে গিয়েছিল পাওনাদারদের তাগদাও । তাই হয়তো তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন। "

অপরদিকে কাঁথি থানার IC সুনয়ন বসু বলেন," ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে মৃতদেহ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ।" যদিও, পরিবারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details