কাঁথি , 5 মে : তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়ে গেছে ৷ 42 দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ৷ মাথায় হাত ছোটো ব্যবসায়ীদের ৷ বন্ধ হয়েছে রোজগার ৷ ক্রমেই বাড়ছে ঋণের বোঝা ৷ এরই মাঝে 57 বছরের জুতো ব্য়বসায়ী কনক মাইতির ঝুলন্ত দেহ মিলল। ঋণেরবোঝা মেটানোর কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান এমনই৷ ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার মহিষগোট গ্রামে ।
মহিষগোট গ্রামের বাসিন্দা কনক মাইতির কাঁথি শহরের শ্রীরূপা সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় একটি জুতোর দোকান চালান। আর এই জুতো দোকান করতে আগে থেকেই তিনি অনেক ঋণ নিয়েছিলেন । আস্তে আস্তে দেনা শোধও করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এই লকডাউনের জন্য 42 দিন ধরে বন্ধ রয়েছে তাঁর জুতোর দোকান । যার জেরে তিনি ভেঙে পড়েন। অনুমান, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের বাড়ির ছাদে ঝুলে পড়েন। সকালে পরিবারের লোকেরা দেখতে পেয়ে কাঁথি থানায় খবর দেয় ।