দুর্গাপুর, 27 অগাস্ট : চোর সন্দেহে এক নাবালককে মারধরের অভিযোগ উঠল RPF-এর এক জওয়ানের বিরুদ্ধে ৷ ওই নাবালকের বয়স 9 ৷ প্রতিদিনের মতো আজও স্টেশন চত্বরে বসে ভিক্ষা করছিল সে ৷ অভিযোগ, হঠাৎই এক RPF জওয়ান চোর সন্দেহে তাকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে যায় ৷ এরপর এলোপাথাড়ি মারতে থাকে ৷ দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের ঘটনা ৷ ঘটনার প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা ৷ ঘিরে রাখা হয় ওই RPF জওয়ানকে ৷
চোর সন্দেহে নাবালককে মার RPF জওয়ানের ! - durgapur rail station
কয়েকবছর আগে মা মারা গেছে ৷ স্টেশনেই ভিক্ষা করে ওই নাবালক৷ পড়াশোনা করা তো দূর-অস্ত ৷ রোজ ঠিক মতো খাবারই জোটে না ৷ দু'মুঠো অন্ন জোগাড়ের তাগিদে স্টেশন চত্বরে বসে ভিক্ষা করে ৷ প্রতিদিনের মতো আজও স্টেশন চত্বরে বসে ভিক্ষা করছিল সে ৷ হঠাৎই এক RPF জওয়ান তাকে চোর সন্দেহে জোর করে রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ৷ এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে ৷
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই নাবালক স্টেশনেই ভিক্ষা করে ৷ কয়েকবছর আগে মা মারা গেছে তার ৷ পড়াশোনা তো দূর-অস্ত ৷ রোজ ঠিক মতো খাবারই জোটে না ৷ দু'মুঠো অন্ন জোগাড়ের তাগিদে স্টেশন চত্বরে বসে ভিক্ষা করে ৷ প্রতিদিনের মতো আজও স্টেশন চত্বরে বসে ভিক্ষা করছিল সে ৷ হঠাৎই এক RPF অফিসার তাকে চোর সন্দেহে তুলে নিয়ে যায় ৷ জোর করে রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে ৷ ঘটনার প্রতিবাদ করেন উপস্থিত অনেকেই ৷ চুরি যদি সে করে থাকে তবে প্রমাণের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত রেলপুলিশের ৷ এভাবে রাস্তায় চোর সন্দেহে আচমকা কোনও নাবালককে মারধর করতে পারেন না কোনও RPF জওয়ান ৷
সোমবার ডাউন দুন এক্সপ্রেস ট্রেনে এক মহিলার টাকার ব্যাগ চুরি হয় । ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসে রেলপুলিশ ৷ তবে আজ ওই RPF জওয়ান বিনা প্রমাণেই ওই নাবালককে মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ ৷ তার এহেন 'বীরত্ব' প্রদর্শনে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয়রা ৷ ঘিরে রাখা হয় ওই জওয়ানকে । দুর্গাপুর স্টেশন বাসস্ট্যান্ডে আসেন, RPF-এর অফিসার ইনচার্জ মুকেশ কুমার সহ পদস্থ আধিকারিকরা । প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় নাবালককে । সে বলে, "আমি বারবার বলছিলাম আমি চুরি করিনি । তাও আমাকে স্টেশন থেকে টানতে টানতে বাসস্ট্যান্ডে এসে রাস্তায় ফেলে মারল ।" নাবালকের এক আত্মীয়ের অভিযোগ, "নাবালকের উপর কী ভাবে এমন অমানবিক অত্যাচার করল ওই RPF জওয়ান?" দুর্গাপুর স্টেশনের RPF অফিসার ইনচার্জ মুকেশ কুমার বলেন, "যা বলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন ৷"