পারসকোল গ্রামে 108 নম্বর বুথে জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী দুর্গাপুর, 11 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল একতরফাভাবে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকে জিতেছে। পাশাপাশি তাদের একটি আসন হারানোর অনুশোচনাও রয়েছে। বহুলা পঞ্চায়েতের পারসকোল গ্রামের 108 নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী রমেশ বাউরির জয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকার সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা । লাল আবীরে রাঙলেন প্রার্থী রমেশ ৷ জানালেন এই জয় মানুষের জয় ৷
জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী রমেশ বাউরি (40) জানান, তিনি পেশায় একজন টোটো চালক। প্রায় 15 বছর ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও তাঁর বৃদ্ধা মা, ভাই ও ছেলে রয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলেও তিনি দল ছাড়েননি। তিনি জনগণের সেবা করার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, "জনগণ আমার প্রতি আস্থা রেখেছে যার ফলশ্রুতিতে আমি এত ভোটে জয়ী হয়েছি। তৃণমূলের যে সন্ত্রাস চলছিল, তার বিরুদ্ধে গিয়ে গ্রামের মানুষ আমার হয়ে লড়েছে ৷ এ শুধু আমার জয় নয়, গোটা গ্রামের জয় ৷"
অন্যদিকে, স্থানীয় সিপিআইএম নেতা জয়ন্ত রাই জানিয়েছেন যে, তাঁদের দলের লোকেদের সক্রিয়তার কারণে তৃণমূলের লোকেরা এই বুথে ছাপ্পা ভোট দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই বুথে পরাজিত হয়েছে শাসক দল ৷ উল্লেখ্য, এই বুথে মোট ভোটার 605 জন। যেখানে সিপিআইএম প্রার্থী রমেশ একাই 332 ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছে 171টি ভোট এবং বিজেপি প্রার্থী পেয়েছে মাত্র 72টি ভোট। 30টি ভোট নষ্ট হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: বাসন্তীতে বিজেপির বিজয় মিছিলে পুলিশের লাঠি, পুকুরে ঝাঁপ কর্মীদের
যার ফলস্বরূপ, ভোটের ফল আসে সিপিএমের পক্ষে। অন্যান্য অনেক আসনেও সিপিআই(এম) প্রার্থীরা মাত্র কয়েক ভোটে পরাজিত হয়েছেন। অভিযোগ ছিল, ভোট গণনার সময় সিপিআই (এম) এজেন্টদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল বুথ থেকে। গণনা কেন্দ্রে তৃণমূলের লোকজন ভিড় করে বসেছিলেন। ভোট ও গণনায় কারচুপি না-হলে তাঁদের প্রার্থীরা ভালো ফল করতে পারত বলে দাবি করেন সিপিআইএম নেতা। তিনি বলেন, "গত নির্বাচনে সিপিআই(এম) একটি আসনও জিততে পারেনি ৷ তবে এবার আমরা প্রায় সব আসনেই এগিয়েছি। আমরা আগামী নির্বাচনে সবক'টি আসনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।"