বর্ধমান, 16 জুন : দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতের কাজকর্ম ৷ বন্ধ শুনানি ৷ হচ্ছে না এফিডেভিটের মতো কাজও ৷ জামিন পাওয়া নিয়েও সমস্যার শেষ নেই ৷ একই অবস্থা কাটোয়া ও কালনা আদালতেও ৷ এর জেরে বকেয়া মামলার সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে হাজারের গণ্ডি ৷ শুধুমাত্র বিচারপ্রার্থীরাই যে সমস্যায় পড়েছে তা নয় ৷ আদালত বন্ধ থাকায় আর্থিক সমস্যায় যুঝছে জুনিয়র আইনজীবীরাও ৷
পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতে মোট 22টি কোর্ট রয়েছে । লকডাউনের জেরে কোর্টের কাজকর্ম এতদিন বন্ধ ছিল ৷ এই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র জরুরি মামলা শুনানি হয়েছে ৷ কিন্তু, বাকি মামলাগুলির শুনানি না হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তির হার প্রায় শূন্য । মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত বকেয়া মামলার সংখ্যা কয়েক হাজারে গিয়ে ঠেকেছে । চাপ কমাতে লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে আদালতের কাজকর্ম শুরু হয়েছে ৷ শর্ত মেনে প্রতি সোমবার ও শুক্রবার আদালত খোলা থাকছে ৷ তবে, কাজ শুরু হলেও সব কিছু স্বাভাবিক হতে আরও ছয়মাস সময় লাগবে বলে মনে করছে আইনজীবীরা ৷ এই নিয়ে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেছেন,"লকডাউনের জন্য দিনে দিনে মামলার পাহাড় জমছে । সমস্যা মেটাতে আপাতত সপ্তাহে দু'দিন আদালত খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । তবে এখন শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি বিষয়গুলিরই শুনানি হবে । তবে আদালত পুরোপুরি খোলার পরও স্বাভাবিক হতে আরও 6 মাস সময় লাগবে । পড়ে থাকা মামলার নিষ্পত্তি কবে হবে? মক্কেলদের এই প্রশ্নে জেরবার আইনজীবীরা ৷ বর্ধমান আদালতের APP উদয় কোনার বললেন, "লকডাউনের জন্য পেন্ডিং থাকা মামলার শুনানি হয়নি । এক একটা কোর্টে অনেক মামলা পড়ে আছে । হঠাৎ করে লকডাউনের জন্য আমরাও বাজে অবস্থায় পড়েছি । মক্কেলদের সদুত্তর দিতে পারছি না । জুন মাসেও এই সমস্যা থাকবে বলে মনে হয় ।"
জেলা আদালতের আইনজীবীদের মতে রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলিতেই বকেয়া মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি । আদালতে শুধু বিচারক ও আইনজীবীরাই আসেন না ৷ অভিযুক্তদের আত্মীয়রাও আসেন । তাই মামলার চাপ কমাতে আপাতত সপ্তাহে দুদিন রোটেশন পদ্ধতিতে আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । সোমবার ও শুক্রবার রোস্টার পদ্ধতিতে আদালত খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে । জেলা জজ আদালত দু'দিনই খুলবে । CJM বসবেন দু'দিন । যেমন-
প্রতি শুক্রবার খুলবে ADJ ফার্স্ট কোর্ট ৷
প্রতি সোমবার খুলবে ADJ সেকেন্ড কোর্ট ৷