দুর্গাপুর, 1 এপ্রিল : দেশজুড়ে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও । কিন্তু কে কার কথা শোনে? দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে লকডাউনের অষ্টম দিনের ছবি মনে করিয়ে দিল দূর্গোৎসবের সময় ভিড় ঠাসা বাজারের ছবিকে । মানুষকে সচেতন করার জন্য লাগাতার প্রয়াস চালিয়েও হতাশ হয়েছেন বলে জানান দুর্গাপুর নগরনিগমের দু'নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার ৷
লকডাউনে ভিড়ে ঠাসা বাজার, অসচেতন দুর্গাপুরের মানুষ
লকডাউনে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে সরকারের তরফে ৷ বাজার খোলা থাকলেও ভিড় করতে বারণ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ কিন্তু তারপরও অন্য ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের ৷ কোরোনা সংক্রমণকে উপেক্ষা করে ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে জিনিস কিনতে দেখা গেল দুর্গাপুরবাসীকে ৷ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন দুর্গাপুর নগরনিগমের দু'নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান ৷
দেশজুড়ে লকডাউন চলছে । কিন্তু তার মাঝেও শিল্পশহর দুর্গাপুরের বহু সংখ্যক মানুষ বুঝতে চাইছেন না মারাত্মক কোরোনা ভাইরাসের প্রভাবকে । লকডাউনের অষ্টম দিনে তাই বেনাচিতি বাজারে চোখে পড়ল উপছে পড়া ভিড় । উল্লেখ্য এই বাজারে জনস্রোত আটকাতে দুর্গাপুর নগরনিগমের পক্ষ থেকে সবজি ও খুচরো মাছ বিক্রেতাদের এর আগেই দেশবন্ধু নগর ফুটবল ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি ৷ আজ সকাল থেকেই দেশবন্ধু নগর ময়দান এবং বেনাচিতি বাজারে চোখে পড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড় । মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের দু'নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার ৷ দেখা গেল দুর্গাপুর বণিকসভার প্রতিনিধিদেরও । কয়েকদিন ধরে লাগাতার মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস চালিয়েও তাঁরা যে ব্যর্থ তা স্বীকার করে নিলেন ।
রমাপ্রসাদ হালদার বলেন, "মানুষকে কিছুতেই সচেতন করা গেল না । আমরা, সংবাদমাধ্যম, পুলিশ সবাই মিলে এতদিন চেষ্টা চালিয়ে গেলাম । কিন্তু যে ছবি আজ দেখছি তাতে এটা স্পষ্ট যে এই মানুষ কোরোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কথা জানালেও তাঁরা বুঝতে চাইছেন না ।" মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন মানুষকে মানতে বাধ্য করানোর ক্ষেত্রে পুলিশের লাঠিচার্জের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন । শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের ওপর লাঠিচার্জ করা পুলিশ কর্মীদেরকে শাস্তির মুখেও পড়তে হয় । আর তা দেখেই পুলিশকর্মীরা হাত গুটিয়ে নিয়েছেন ৷ আর তার ফলেই বাজারে মানুষের ভিড় জমতে শুরু করেছে । সামাজিক দূরত্বের কোনও চিহ্ন নেই । ভিড় করে বাজারে কেনাকাটার ধুম মনে করিয়ে দিচ্ছে উৎসবকালীন সময়ে বেনাচিতি বাজারের ছবির কথাকে ৷