পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে ফিশারি ফার্ম, দুর্গাপুরে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছেন অভিজিৎ - paschim bardhaman

ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে বায়োফ্লক এবং বটম ক্লিন পদ্ধতিতে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে নিয়ে বিভিন্ন দেশিয় মাছের চারা উৎপাদন করে স্বনির্ভর প্রকল্প তৈরি করেছেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁর এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি হয়েছে এলাকার যুবকদের ৷ পশ্চিম বর্ধমানে তাঁর এই প্রকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে ৷

দুর্গাপুরের ফরিদপুরে ফিশারি ফার্ম
দুর্গাপুরের ফরিদপুরে ফিশারি ফার্ম

By

Published : May 30, 2021, 8:42 PM IST

দুর্গাপুর, 30 মে : বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ ছেড়ে মাছ চাষে মন দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ৷ সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বায়োফ্লক এবং বটম ক্লিন পদ্ধতিতে উৎপাদন করছেন বিভিন্ন দেশিয় মাছের চারা ৷ তাঁর এই স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্য়মে স্থানীয় যুবকরা কাজের সুযোগও পাচ্ছেন ৷ কর্মসংস্থানের দিশা তৈরি হচ্ছে ফরিদপুর দুর্গাপুরে ৷

রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার পাঠ দিচ্ছে। রাজ্য সরকারের পথে হেঁটে বিদ্যুৎকেন্দ্রে চাকরি ছেড়ে স্বনির্ভরতার পথে হাঁটছেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ৷ সঙ্গে নিয়েছেন এলাকার বেশ কিছু যুবককে ৷ তাঁর প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকাবাসীদের জন্য কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি হয়েছে । প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মুনমুন হাজরা এই প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন ।

দুর্গাপুরের ফরিদপুরে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারের ফিশারি ফার্ম

ভিনজেলা থেকে ডিম নিয়ে আসার পর দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ধবনি এলাকায় ফাঁকা মাঠে খামার তৈরি করে সেই ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরি করছেন অভিজিৎ । কই, গলদা চিংড়ি, রুই-কাতলা, মিরিক মাছের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে । কয়েক হাজার কই, কয়েক হাজার গলদা চিংড়ি এবং রুই, কাতলা, মিরিক মাছের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে । সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সৌর পাম্প বসিয়ে বটম ক্লিন এবং বায়োফ্লক মেশিনের মাধ্যমে পুকুরে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন । পরবর্তীকালে বিকল্প পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ এবং মাছের ডিম উৎপাদন করে সেখান থেকে মাছের চারা উৎপাদন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন । পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনও পর্যন্ত ডিম উৎপাদন করে মাছের চারা তৈরি হয়নি বলে জানান অভিজিৎ ।

মাছ চাষের ক্ষেত্রে খাদ্য রূপান্তরের হারের মান যত কম হবে, মাছ চাষে আয় তত বেশি হয় ৷ এই পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়া মাছের অব্যবহৃত খাদ্য, মল-মূত্র থেকে নিঃসৃত অ্যামোনিয়াকে ব্যবহার করে অণুজীব প্রোটিন তৈরি করে ৷ তখন আর বাইরে থেকে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কম দিলেও চলবে ৷ তাই এই প্রক্রিয়ায় খাদ্য রূপান্তরের হার অন্যান্য প্রক্রিয়া থেকে কম হয় । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান অভিজিৎ ।

লকডাউন পরিস্থিতিতেও এই মাছের চারা পৌঁছে যাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান-সহ বেশ কিছু জেলায় । কর্মসংস্থানের জায়গাও তৈরি হয়েছে বেশ কিছু স্থানীয় যুবকের । প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য ।

আরও পড়ুন : শূকরদের আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর সংক্রমণ রুখতে জয়গাঁতে শিবির জেলাপ্রশাসনের

ABOUT THE AUTHOR

...view details