আসানসোল, 2 এপ্রিল: খবরটা শোনার পর থেকে এলাকা প্রায় শুনশান । মিডিয়া এসেছে শুনে পাড়ার লোকজন আরও দূরে চলে গেল । দু'নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই রানিগঞ্জের ছয়-সাত নম্বর কলোনি বলেই এলাকাটি পরিচিত । এখানেই ছোটবেলায় প্রথম আসা ৷ তারপর এই রাজুই পরবর্তীকালে কয়লা কারবারের বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছিলেন । শনিবার শক্তিগড়ের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজুর ।
বিহারের দ্বারভাঙা জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে রানিগঞ্জে প্রথম আসা রাজুর । এখানে মারওয়াড়ি স্কুলে ক্লাস নাইন পর্যন্ত চলেছিল পড়াশোনা । এরপর আট-নয় দশকে কয়লা কারবারি সুরজু উপাধ্যায়ের সংস্পর্শে এসে তার কয়লার লরির পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত হন রাজু । প্রথমদিকে কয়লার লরির খালাসির কাজ নিয়ে তার ঢোকা । এরপর ধীরে ধীরে কয়লার বেআইনি কারবারে হাত পাকানো শুরু হয় রাজুর ।
সুরজু উপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর বেআইনি কয়লার প্যাড রাজুর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় । 2000 সাল থেকে ধীরে ধীরে কয়লার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন তিনি । রানিগঞ্জ থেকে ডানকুনি পর্যন্ত একচেটিয়া বেআইনি কয়লার প্যাড তার নিয়ন্ত্রণে তখন ৷ ক্রমেই রাজু কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠেন । 2015-15 সাল নাগাদ রানিগঞ্জ ছেড়ে পরিবার নিয়ে রাজু দুর্গাপুরে বসবাস করতে শুরু করেন । সেখানে রেস্তোরা, হোটেল, ট্রান্সপোর্ট, পার্কিং জোন ও শপিং মলের ব্যবসায় প্রতিপত্তি হতে থাকে তাঁর ।