আসানসোল, 19 জানুয়ারি: 177টি রহস্যজনক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই । এই অ্যাকাউন্টগুলির সই'য়ে একই মানুষের হাতের লেখা ! শুধু তাই নয়, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হয়ে টাকা ঢুকেছে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal News) ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের দুটি চালকলের অ্যাকাউন্টে (Anubrata Mondal Rice Mill)। এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল সিবিআই । বৃহস্পতিবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের শুনানির সময় এই রিপোর্ট ও নথি সিবিআই আদালতে জমা দেয় । নতুন ক'রে অনুব্রতর জামিনের আবেদন আর করা হয়নি । বিচারক অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে পাঠান (CBI Claim over Anubrata Account)। আগামী 3 ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি (Asansol CBI Court)।
আদালতে হাজির হন অনুব্রত: বৃহস্পতিবার আসানসোল সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলায় শুনানি ছিল । শুনানির আগে সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতকে একপ্রস্থ জেরা করে সিবিআই । তারপর সশরীরে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসা হয় আদালতে ।
রহস্যময় ব্যক্তির খোঁজে সিবিআই: এ দিন কোর্টে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য চাঞ্চল্যকর দাবি করেন । তিনি কোর্টে রিপোর্ট ও নথি পেশ ক'রে জানান, 177টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ সমবায় ব্যাংক থেকে মিলেছে । এই অ্যাকাউন্টগুলি পরিচালনা করতেন কোনও এক রহস্যময় ব্যক্তি । সব অ্যাকাউন্টে যাঁর সই মিলেছে, সেটা একই ব্যক্তির হাতের লেখা । সিবিআই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হাতের লেখা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারে । কে এই ব্যাক্তি তার খোঁজ করছে সিবিআই ।
লকডাউনের সময় খোলা হয় ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি: অন্যদিকে সিবিআই দাবি করেছে, যাঁদের নামে এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে তাঁরা সে বিষয়ে জানেনও না । তাঁরা ব্যাংকেও যাননি । তাঁদের যে নথি সরকারি প্রকল্পের জন্য পঞ্চায়েতে জমা পড়েছিল, সেই নথি দিয়েই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি করা হয়েছিল । রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে যে বিষয়ে তা হল, এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি কোভিডকালে খোলা হয়েছে। যে সময় সম্পুর্ণ লকডাউন ছিল । অফিস, ব্যাংক যখন সব বন্ধ ছিল, সেইসময় ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল বলে সিবিআই কোর্টে দাবি করেছে ।