দুর্গাপুর ,7 জুন: এরা কেউ কাজ করতেন বেঙ্গালুরুতে । কেউ বা আবার কর্নাটকের অন্য কোনও শহরে । কিছুদিন আগেই রাজ্যে ফিরেছেন । আর রাজ্যে ফিরেই হোম কোয়ারানটিন ! ঠাঁই হয়েছে গ্রামের শেষে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় ভগ্নপ্রায় একটি বাড়িতে । অভিযোগ, প্রচন্ড গরমের মধ্যে ভাঙা ঘরে, অন্ধকারে, বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের সঙ্গে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁদের । স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কথায় , এলাকার মানুষ তাঁদেরকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না । তাই ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ওই দশজনকে সেখানেই রাখা হয়েছে ।
কোরোনার আবহে বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন । মুম্বই, গুজরাত, রাজস্থান-সহ বেশ কিছু চিহ্নিত রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখার কথা বলা হয়েছে । চিহ্নিত রাজ্যগুলি বাদে অন্য রাজ্যগুলি থেকে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারানটিনে থাকার কথা বলা হয়েছে ।
পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের রক্ষিৎপুর গ্রামের দশজন শ্রমিক বেঙ্গালুরু ও কর্নাটকের অন্যান্য শহর থেকে শনিবার জেলা ফিরেছেন । কিন্তু গ্রামের লোকেরা তাঁদের বাড়িতে থাকার অনুমতি দেয়নি । স্থানীয় মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে । কিন্তু গ্রামের মানুষের বাধায় তাঁদেরকে রাখা হয়েছে রক্ষিৎপুর গ্রামের একেবারে নির্জন এলাকায় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে ।