শ্যালকের বিয়েতে জলে ডুবে মৃত্যু জামাইবাবুর দুর্গাপুর, 27 নভেম্বর: আনন্দের পরিবেশ এক লহমায় বদলে বিষাদে ৷ মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় খুশির মহলে উঠল কান্নার রোল। যার সাক্ষী রইল শিল্পশহর দুর্গাপুর। শ্যালকের বিয়েতে এসে জলে ডুবে মৃত্যু হল জামাইবাবুর। জামাইকে বাঁচাতে গিয়ে আশঙ্কাজনক শ্বশুর। পরিবার তো বটেই, ঘটনায় শোকস্তব্ধ সমগ্র এলাকা।
দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার ফুলঝোড় নিবাসী স্বপন কুমার সামন্তের ছেলে দেবমিতের বিয়ে ছিল সোমবার। পাত্রী পূর্ব বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদরের পলাশন গ্রামে। নিয়ম মেনে এদিন ভোর 5টা নাগাদ স্থানীয় শঙ্খবাঁধে জল সইতে গিয়েছিলেন পাত্রের দিদি দেবস্মিতা কুণ্ডু, জামাইবাবু কৌশিক কুণ্ডু, পাত্রের বাবা স্বপন কুমার সামন্ত ও এক আত্মীয়া। জল সওয়ার পর্ব চলাকালীন অসাবধানতাবশত জলে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয় পাত্রের দিদি দেবস্মিতা কুণ্ডু, তাঁকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন জামাইবাবু কৌশিক কুণ্ডু ৷ দু'জনকে ডুবে যেতে দেখে তাঁদের বাঁচাতে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন পাত্রের বাবা স্বপন কুমার সামন্তও।
পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা আত্মীয়ার চিৎকারে আশেপাশের প্রতিবেশীরা এসে তিনজনকেই জল থেকে উদ্ধার করে। দেবস্মিতাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও জামাইবাবু কৌশিক কুণ্ডু ও বাবা স্বপন কুমার সামন্তকে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা কৌশিক কুণ্ডুকে (52) মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওই বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন পাত্রের বাবা স্বপন কুমার সামন্ত। এই ঘটনায় বিয়ে বাড়ির আনন্দমুখর পরিবেশ এক লহমায় বদলে গিয়েছে। মৃত কৌশিক কুণ্ডুর দেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়। ঘটনায় এক প্রতিবেশী অলোক কুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, সকালবেলায় জল সইতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা। পাত্রের বাবার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। দিদি ভালো আছেন। পাত্রের জামাইবাবুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- তর্পণ করতে নেমে অজয় নদে ডুবে মৃত্যু প্রৌঢ়ের
- খেলতে গিয়ে পুকুরে নামতেই এক মুহূর্তে শেষ! জলে ডুবে প্রাণ গেল পাঁচ শিশুর
- শিক্ষকদের গাফিলতিতে জলে ডুবে মৃত্যু ছাত্রের! বিক্ষোভে গ্রামবাসী