দুর্গাপুর, 31 অক্টোবর : ফের একবার ভাঙল দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট । আজ সকাল 6 টা নাগাদ দুর্গাপুর ব্যারেজের 31 নম্বর লকগেট ভেঙে যায় । প্রাথমিকভাবে অনুমান, ব্যারেজের জমা জলের তোড়ে এই লকগেট ভেঙেছে । খবর পেয়ে ব্যারেজ পরিদর্শনে আসেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র দিলীপ অগস্তি, দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র পারিষদ সদস্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর নগর নিগমের 4 বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আজ সন্ধের মধ্যেই ফের আবার জলশূন্য হয়ে পড়বে ব্যারেজ ৷ দুর্গাপুরে জল সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেয়র এবং বিধায়ক । দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে প্রতিটি এলাকায় প্রচার চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে । কেউ যাতে জল নষ্ট না করে সেই আবেদন রাখেন মেয়র । বারবার দুর্গাপুর ব্যারেজের এই লকগেট ভাঙার কারণে রাজ্যের সেচ দপ্তরকে দায়ী করছেন অনেকেই । কারণ, দীর্ঘকাল আগে এই লকগেট তৈরি হলেও সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে তার সংস্কার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
1955 সালে রাজ্যের প্রয়াত ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের সময়কালে দুর্গাপুর ব্যারেজ তৈরি হয় । শিল্প-কলকারখানার প্রয়োজনীয় জল ছাড়াও সেচের কাজে ব্যবহারের জন্য এবং দুর্গাপুরের মানুষকে পানীয় জল পরিষেবা দিতেই দুর্গাপুর ব্যারেজ তৈরি হয়েছিল । কিন্তু দীর্ঘদিন এই ব্যারেজ সংস্কারের অভাবে লকগেটগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছে । তাই বারবার লকগেট ভেঙে ব্যারেজের জল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । 2017 সালে দুর্গাপুর ব্যারেজের 1 নম্বর গেট ভেঙে যাওয়ার কারণে জলশূন্য হয়ে পড়েছিল দুর্গাপুর ব্যারেজ । প্রায় পাঁচদিন সময় লেগেছিল এই লকগেট নতুন করে প্রতিস্থাপন করতে ৷ এই পাঁচদিন তীব্র জল সংকটে ভুগেছিল দুর্গাপুরবাসী । কয়েক বছর আগে 1 নম্বর লকগেট ভেঙে যাওয়ার কারণে ব্যারেজের জমা জল বেরিয়ে জল শূন্য হয়ে পড়ে দুর্গাপুর ব্যারেজ । এবার 31 নম্বর লকগেট ভেঙে গেছে । দুর্গাপুর পৌরনিগমের জল দপ্তরের মেয়র পারিষদ সদস্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, " এই বিষয়গুলি সেচ দপ্তর দেখভাল করে । আমরা তাদের সাথে কথা বলছি । "
ভাঙল দুর্গাপুর ব্যারেজের 30 নম্বর লকগেট, জল সংকটের আশঙ্কা এই ব্যারেজটির সঙ্গে দুর্গাপুর পৌরনিগমের 43 টি ওয়ার্ড যুক্ত ৷ ফলে, দেখা দিতে পারে জল সংকট ৷ মোট 34 টি লকগেট আছে দুর্গাপুর ব্যারেজে । 1955 সালে তৈরি হওয়া এই ব্যারেজের লকগেটগুলির সংস্কার প্রয়োজন । কিন্তু তা না হওয়ার কারণে 1 নম্বর লকগেট ভাঙার পরে এবার 31 নম্বর লকগেট ভাঙল । ব্যারেজের জমা জল দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় বয়ে যাচ্ছে ৷ এর ফলে শুধুমাত্র পানীয় জলের সংকট নয়, সেচের জলের সংকটেও ভুগবে বহু এলাকা ।