জামুড়িয়া, 30 জানুয়ারি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জামুড়িয়া রেলস্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু কোথায় সেই মডেল রেলস্টেশন? নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, নেই শৌচাগার, নেই কোনও প্রতীক্ষালয় এমনকী নেই কোনও টিকিট কাউন্টারও ৷ তাই স্বপ্ন পূরণের জন্য সাধারণ বাজেটের দিকেই তাকিয়ে জামুড়িয়াবাসী ৷
অন্ডাল- জসীডী রেলপথে পড়ে জামুড়িয়া রেলস্টেশন । আগে একমাত্র অন্ডাল-বৈদ্যনাথধাম লোকাল ট্রেন চলাচল করত এই স্টেশন দিয়ে ৷ রেল সূত্রে জানা গেছে অলাভজনক এই কারণ দেখিয়ে 1996 সালের জুন মাসে ওই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ । তারপর 2009 সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামুড়িয়া রেলস্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ সেইমতো 2010-11 সালে ফের ওই ট্রেন চলাচল শুরু হয় । কিন্তু ন'বছর পরেও এই রেল স্টেশনে পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি বলে ক্ষুব্ধ জামুড়িয়া বাসিন্দারা । প্ল্যাটফর্ম দৈর্ঘ্যে ছোটো তাই পিছনের কামরার যাত্রীদের চেয়ার করে নামাতে হয় ৷ অন্ডাল থেকে সকাল 7.15 মিনিট নাগাদ ট্রেন একটি ট্রেন আসে । ওই ট্রেনটিই বিকেল 5:05 নাগাদ জসীডী থেকে ফেরে । প্রত্যেকদিন সকালে এক ব্যক্তি সাইকেল করে আসেন ৷ তিনি রেলের কোনও কর্মচারী নন ৷ ব্যাগে করে আগে থেকে প্রিন্ট করা টিকিট নিয়ে আসেন ৷ গন্তব্যস্থান অনুযায়ী যাত্রীদের টিকিটের ওপর তারিখের স্ট্যাম্প দিয়ে দেন । স্ট্যাম্প পড়লেই কনফার্ম হয়ে যায় টিকিট ।
এ বিষয়ে জামুড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের এক শিল্পপতি অজয় খৈতান জানান, অন্ডাল- জসীডী ট্রেনটি বন্ধ হয়ে গেছিল । সেটিকে ফের চালু করার জন্য চেম্বার অফ কমার্স ও আমুড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়ালের পক্ষ থেকে দাবি রাখা হয় । অবশেষে ফের চালু হয় ওই ট্রেনটি । বলেন," আমাদের দাবি ছিল, চিত্তরঞ্জন ভায়া জামুড়িয়া হয়ে কলকাতা এবং জামুড়িয়া থেকে ধানবাদ পর্যন্ত ট্রেন চালু করার । জামুড়িয়া আর পুরোনো জামুড়িয়া নেই । শিল্পের জন্য 30 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে জামুড়িয়াতে । বড় বড় কয়েকটি কারখানা রয়েছে এখানে । ECL-এর অনেক কয়লা খনিও রয়েছে । এছাড়াও এখানে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসে কাজের জন্য ৷ তাই এই রেলস্টেশনকে উন্নতমানের করা হোক । অবিলম্বে আরও কয়েকটি ট্রেন চালু করা হোক ৷