আসানসোল, 10 জুলাই : চিত্তরঞ্জন শহরে রাস্তা অবরোধ করল স্থানীয়রা । মুখ্য গেটের সামনেই চলল অবরোধ । ফলত, বেশ কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস চৌধুরি স্থানীয়দের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানান ।
চিত্তরঞ্জনে কোরোনা পরিস্থিতিতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । এমন কী শহর থেকেও বেরোতে দেওয়া হচ্ছিল না । চিত্তরঞ্জনের ঢোকার মূল প্রবেশপথ এক নম্বর ও তিন নম্বর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় । বন্ধ করা হয় ছোটো পকেট গেটগুলিও । বর্তমানে অনেকটাই শিথিল লকডাউন । চিত্তরঞ্জন শহরে এক নম্বর ও তিন নম্বর গেট খোলা হয়েছে । পকেট গেটগুলি না খোলায় গ্রামের অনেক মানুষকে ঘুরপথে আসতে হচ্ছে রেলশহরে । আর সেই কারণেই এবার পথ অবরোধ ।
সালানপুরে নামোকেশিয়া কালীমন্দির ও রামকৃষ্ণ পাঠাগারের সামনে দুইটি পকেট গেট রয়েছে । এই গেটগুলি দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতেন । কারখানার শুরুর সময় থেকেই এই দুইটি গেট রয়েছে । কিন্তু কোরোনা আতঙ্কের কারণে চিত্তরঞ্জন শহরকে সিল করা হয় । তখন এই দুইটি পকেট গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয় । বর্তমানে সব গেট খুললেও পকেট গেটদুটি খোলেনি । ফলে ওই এলাকার মানুষ ব্যবসায়ীদের প্রায় ছয় কিলোমিটার ঘুর পথে চিত্তরঞ্জন শহরে আসতে হচ্ছে । বারবার দাবি করার পরও না খোলায় আজ বাসিন্দারা চিত্তরঞ্জনের মুখ্য প্রবেশ পথের কাছে অবরোধ শুরু করে দেন । দীর্ঘক্ষণ ধরে এই অবরোধ চলে ।
পঞ্চায়েত প্রধান তাপস চৌধুরি চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে একটি দাবিপত্র তুলে দেন । কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে বলে জানিয়েছে বলে জানান তিনি । তাপস চৌধুরির আশ্বাস পেয়ে বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন । তবে পকেট গেট খোলা না হলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের পথে তাঁরা হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন ।