দুর্গাপুর, 8 ডিসেম্বর: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টির জেরে মাটি আলগা হয়ে ধস নামল খনি এলাকার বিদ্যালয়ে । বৃহস্পতিবার রাতে পাণ্ডবেশ্বরের হরিপুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের মিড-ডে মিলের রান্নাঘরের সামনেই নামল ধস । আকারে ছোট হলেও গভীর গর্তে পরিণত হয়েছে । আর সেই গর্তে দেখা যাচ্ছে জল । এই ঘটনা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে ।
খনিগহ্বর থেকে কয়লা উত্তোলনের পর ফাঁকা অংশ বালি দিয়ে ভরাট না করার জন্যই বারেবারে ধসের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । এর জন্য স্থানীয়রা দায়ী করেছে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেডকেই ৷ এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ঘটনার কথা ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের আধিকারিকদের জানানো হলেও এখনও কোনও আধিকারিক এসে পৌঁছাননি ।
পঞ্চায়েত সদস্য গোপীনাথ নাগ জানান, বারবার ধসের ঘটনা ঘটছে ইসিএলের গাফিলতির জেরে । যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় ধসের ঘটনাও ঘটতে পারে । কয়লা উত্তোলনের পর জায়গাটা বালি দিয়ে ভরাট করছে না ওরা । দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ৷ অন্যথায় তাঁরা আন্দোলনের পথে হাঁটবেন । এদিকে শুক্রবার বেলা বাড়তেই ঘটনাস্থলে আসেন জামুড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হরেরাম সিং । স্কুল পরিদর্শন করার পর তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ এই ধস নামার জন্য নিজেদের দায় অস্বীকার করতে পারেন না । কয়লাখনিগুলিতে বালি ভরাট করার কাজ সঠিকভাবে না হওয়ার কারণেই বারবার খনি অঞ্চলে এরকম ধস দেখা যাচ্ছে । এলাকার মানুষ আতঙ্কিত । এই বিষয়ে আমি ইসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব ।"
কোলিয়ারি এজেন্ট পিকে ঝাঁ বলেন,"এখানে আজ থেকে প্রায় বহু বছর আগে কয়লাখনি ছিল । 7-এর দশকের সেই কয়লাখনি ভরাট করা হয়েছিল কি না, তা আমাদের জানা নেই । এখন আমরা এই ধস ভরাট করব ।" খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । তিনি বলেন, "স্কুলে পরীক্ষা বন্ধ হবে না । স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান এবং পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশকে কড়া নজরদারি রাখতে বলা হয়েছ । ছাত্রছাত্রীরা যাতে ওই এলাকায় যেতে না পারে তার জন্য আপাতত বাঁশের বেড়া দেওয়া হবে ।"