দুর্গাপুর, 13 জানুয়ারি: কাঁকসার একই বাড়িতে তিনজন খুনের ঘটনার পুণর্নির্মাণ হল শনিবার। এদিন ওই বাড়িতে কড়া পুলিশি পাহারায় নিয়ে আসা হয় গ্রেফতার হওয়া রিঙ্কু বিশ্বকর্মা ও প্রসেনজিৎ বিশ্বকর্মাকে। কী হয়েছিল ঘটনার দিন ? সবটাই এদিন রিঙ্কু ও প্রসেনজিৎ জানিয়েছে কাঁকসার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের।
সিমরনের বাড়িতে থাকা স্কিপিং রোপ গলায় পেঁচিয়ে সিমরন-সহ তিনজনকে খুন! সিমরনের কাকিমার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সমস্ত ভিডিয়ো-সহ তথ্য লোপাট করতে পুকুরে ফেলা হয় মোবাইল সিম কার্ড আর লাফদড়ি। কাঁকসার খুনে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত বছর নভেম্বর মাসের 10 তারিখে কাঁকসার পানাগড় রেলপাড়ে একই বাড়িতে তিনজন খুন হয়। খুন হয় সিমরন বিশ্বকর্মা ও তার দিদিমা সীতা দেবী এবং মামার ছেলে সোনু বিশ্বকর্মা। তদন্তের ভিত্তিতে খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হয় সিমরনের কাকিমা রিঙ্কু বিশ্বকর্মা। তারপরেই গ্রেফতার হয় আরও দুই যুবক মহম্মদ জুনেদ এবং পাশের বাড়ির প্রসেনজিৎ বিশ্বকর্মাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের জেরা করে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে কাকিমার বিবাহ-বহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক সিমরন জেনে যাওয়ায় এবং আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করে দেওয়ায় সিমরনের উপর ক্ষোভ জন্মেছিল কাকিমার। সিমরনের বাবা এবং মা অসমে গিয়েছিলেন সেই সময় সিমরনের সঙ্গে তাদের বাড়িতে ছিলেন তার দিদিমা সীতা দেবী এবং মামার ছেলে সনু বিশ্বকর্মা। সেই সুযোগ নিয়ে গত বছর নভেম্বর মাসের 10 তারিখ কাকিমা রিঙ্কু বিশ্বকর্মা এবং পাশের বাড়ির প্রসেনজিৎ বিশ্বকর্মা সিমরনকে খুন করার পরিকল্পনা করে। এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল রিঙ্কুর প্রেমিক, রাজবাঁধের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গ্যাস সংস্থার ঠিকা কর্মী মহম্মদ জুনেদ ওরফে পাপ্পু। সিমরনের বাড়িতেই প্রসেনজিৎ তার গলায় লাফ দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর সেই দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে দিদিমা সীতাদেবীকেও খুন করে। সিমরনদের বাড়িতে থাকা দু'টি কুকুরকে নিয়ে সেইসময় বাড়ির বাইরে গিয়েছিল সিমরনের মামার ছেলে সনু বিশ্বকর্মা। পর বাড়ির বাথরুমের কাছে সনুকেও একইভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রসেনজিৎ। ততক্ষণে বাইরে পাহারা দিচ্ছিল কাকিমা রিঙ্কু বিশ্বকর্মা।