বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পথে জিতেন্দ্র তিওয়ারি আসানসোল,30 মার্চ: আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে বুকে ব্যাথা অনুভব করায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিজেপি নেতা ৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শোনা গিয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির বুকের ব্যথা কমেনি। শ্বাসকষ্টও রয়েছে (Breathing problems)। এরপরেই তাঁকে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। স্বামীর শারীরিক অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালী তিওয়ারি ৷
কম্বলকাণ্ডে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আসানসোল সিজিএম আদালত। মঙ্গলবার তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বুধবার বুকে ব্যথা অনুভব করায় জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেইমতো তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হলে, হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করে নেওয়া হয় জিতেন্দ্রকে।
আরও পড়ুন:অস্ত্রোপচারে পেট থেকে বেরলো আড়াই কেজি চুল, বাবা-মায়ের অজান্তেই খেয়ে ফেলত কিশোরী
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালেও বিজেপি নেতার বুকের ব্যথা কমেনি। পাশাপাশি তাঁর শ্বাসকষ্টও শুরু হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। এরপরেই জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে জিতেন্দ্রকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুপুর থেকে শুরু হয় তোড়জোর। কিন্তু সাধারণ এসি অ্যাম্বুলেন্স দেখে বেঁকে বসেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি এবং মেয়ে পল্লবী তিওয়ারি। তাঁরা জানান, "সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কারণ তিনি গুরুতর অসুস্থ।"
শেষ পর্যন্ত পুলিশের উদ্যোগে কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা হয় এবং সেই অ্যাম্বুলেন্সেই বৃহস্পতিবার বিকেলে জিতেন্দ্রকে নিয়ে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন পুলিশ। হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারি এবং তার মেয়ে পল্লবী তিওয়ারি। চৈতালী তিওয়ারি জানিয়েছেন, উনি যেমন মানুষের কাজ করতেন, সুস্থ হয়ে ফিরে এসে সেই ভাবে যেন মানুষের কাজ করতে পারেন, এমনটাই প্রার্থনা করছি ৷