আসানসোল 4 নভেম্বর:সাইবার অপরাধে জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে এ রাজ্যে বসে প্রতারণা করার জন্য আসানসোল সাইবার ক্রাইম বিভাগ তিন জনকে গ্রেফতার করল । আসানসোল সাইবার ক্রাইম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম অনিল শর্মা, চঞ্চল পাল এবং সঞ্জয় মণ্ডল । তিন জনের মধ্যে অনিল শর্মা আসানসোলের বাসিন্দা । সে মোবাইলের সিম স্টোরে চাকরি করে । অন্যজন চঞ্চল পাল রানিগঞ্জের বল্লভপুরের বাসিন্দা । পেশায় মেকানিক । আবার বাঁকুড়ার মেজিয়ার বাসিন্দা সঞ্জয় মন্ডল অনলাইন বিপনন সংস্থার কর্মী । অর্থাৎ তিন জনেই ভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত । তা স্বত্ত্বেও এই প্রতারণা চক্রে নাম লিখিয়েছে। এই ঘটনায় নতুন করে যে বিষয়টি উঠে এল যে প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড জামতাড়াতে বসে কাজ করলেও এ রাজ্যের যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন প্রলোভনে তাদের এজেন্ট তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে । তাদেরকে কাজে লাগিয়েই মূলত এই প্রতারণার ফাঁদ ফেলা হচ্ছে
কীভাবে হতো এই প্রতারণা ?
জানা গিয়েছে এই রাজ্য থেকে সিম তুলে তা চলে যেত সোজা জামতাড়ায় । চঞ্চল পাল এবং সঞ্জয় মণ্ডল এই সিম পাচারের কাজ সুচারুভাবে করত । এবার সেই সিম থেকেই জামতাড়ায় বসে ভুয়ো কল করত। কোন ব্যক্তিকে শিকার করতে পারলেই অনিল শর্মার কাছে খবর আসত এবং অনিল শর্মা এটিএম দ্বারা টাকা সেই গ্রাহকের টাজা তুলে ফেলত । পুলিশ অনিল শর্মাকে গ্রেফতার করে ৷ তার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে । কীভাবে এই এটিএম কার্ডগুলো নিয়ে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে লিংক করত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । পাশাপাশি বেশ কিছু নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, অনিল শর্মা নিজে একজন বেসরকারি ফোন সংস্থার সিম স্টোরে কাজ করতো । কোনওভাবে সিম পাচারের ক্ষেত্রে কিংবা ক্রেতাদের নথিপত্র থেকে তাদের যাবতীয় ডিটেলস জামতাড়া গ্যাঙের কাছে পৌঁছে দিতে কোনও ভূমিকা পালন করতে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে যে বিষয়টি সামনে আসছে যে এই রাজ্যের যুবকদের নানান প্রলোভনে জামতাড়া গ্যাং তাদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করে ফেলছে । রানিগঞ্জের প্রত্যন্ত বল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় পাল কীভাবে এই চক্রে জড়িয়ে গেল তা ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছে পুলিশ । তিন জনকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে পুলিশ । পুলিশের আশঙ্কা এই রাজ্যে এই চক্র আরও দীর্ঘভাবে বিস্তৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন:শুরু পাকস্থলীর ক্যানসার সচেতনতা মাস, জেনে নিন বিশদে