দুর্গাপুর, 15 নভেম্বর: পাণ্ডবেশ্বরে এক শিশুকন্যাকে খুনের ঘটনার তদন্তে বুধবার বিকালে ওই শিশুটির বাড়িতে যায় ভবানী ভবনের বিশেষ তদন্তকারী দল । ওই শিশুকন্যার বাড়ির বিভিন্ন জিনিসের উপর আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে চাইছেন তদন্তকারীরা । চলতি সপ্তাহের সোমবার ওই শিশুকন্যাটির দেহ উদ্ধার হয়েছিল ৷
ওইদিন রাতে পাণ্ডবেশ্বরের কোন্দা এলাকার বাসিন্দা পোষ্ট অফিসের এজেন্ট বাপি গোস্বামীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে । বাপী গোস্বামী সেইসময় অন্য গ্রামে কালীপুজার অনুষ্ঠানে গিয়েছিল । বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী,মা,বাবা ও 6 বছরের শিশুকন্যা । বাপি গোস্বামীর স্ত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, যখন ওই ঘটনা ঘটে তখন তাঁরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন । পরে ঘুম ভাঙতেই তাঁরা দেখেন তাঁদের একমাত্র কন্যা মিষ্টি বিছানায় নেই । তারপর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ওই শিশুটিকে ৷ কিছুক্ষণ পরে তারা দেখতে পান কুয়োর মধ্যে পড়ে রয়েছে শিশুটির দেহ ৷ আশ্চর্যজনকভাবে ওইদিন কয়েক হাজার টাকা বাপী গোস্বামীর বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় পড়ে থাকতেও দেখা যায় । বাড়ির ভিতরের আলমারিও খোলা ছিল বলে অভিযোগ । তাতেই অনুমান, চুরি করতে এসে দুষ্কৃতীরা ওই শিশুকন্যাকে কুয়োয় ফেলে দিয়ে চলে যায় ৷
এরপর পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ দমকল বাহিনীর সাহায্যে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ বাপি গোস্বামীর পরিবারের অভিযোগ, চুরি করার পর দুষ্কৃতীরা তাদের মেয়েকে কুয়োয় ফেলে চম্পট দেয়। আলমারি থেকেও চুরি হয়েছিল টাকা । মঙ্গলবার পুলিশি কুকুর নিয়ে ঘটনার তদন্তে নামে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। বুধবার ভবানী ভবনের তদন্তকারীরা বাপি গোস্বামীর বাড়ির আলমারি-সহ বেশ কিছু জায়গা থেকে আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।