পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

অনাহারে বেহাল দশা আসানসোলের পরিবারের

আসানসোল পৌরনিগমের 85 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মহিশিলা কলোনির শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা দীপক ভট্টাচার্য । তাঁর সঙ্গে তাঁর দিদি মিনতি ভট্টাচার্য এবং ভাইঝি অনিতা ভট্টাচার্য থাকে । দীপকবাবু এবং মিনতিদেবী দু'জনেই অসুস্থ । অনিতা মানসিক ভারসাম্যহীন ।

By

Published : Oct 12, 2019, 3:28 PM IST

Updated : Oct 13, 2019, 8:26 AM IST

আসানসোল

আসানসোল, 12 অক্টোবর : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের আসানসোলের বাড়ি থেকে কিছু দূরেই একটি পরিবার অনাহারে দিন কাটাচ্ছে । পরিবারের তিন সদস্য সপ্তাহের অর্ধেক দিনই কিছু খেতে পান না ৷ এদিকে অর্থাভাবে কোনওরকম চিকিৎসাও হচ্ছে না তাঁদের । স্থানীয় কাউন্সিলর ওই পরিবারের সম্পর্কে জানলেও এখনও পর্যন্ত কিছুই করেননি বলে অভিযোগ ।

আসানসোল পৌরনিগমের 85 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মহিশিলা কলোনির শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা দীপক ভট্টাচার্য । তাঁর সঙ্গে তাঁর দিদি মিনতি ভট্টাচার্য এবং ভাইঝি অনিতা ভট্টাচার্য থাকেন । দীপকবাবু এবং মিনতিদেবী দু'জনেই অসুস্থ । অনিতা মানসিক ভারসাম্যহীন । কয়েকবছর আগে পর্যন্ত দীপকবাবু টিউশন পড়িয়ে সংসার চালাতেন । কিন্তু বর্তমানে শারীরিক কারণে আর কিছুই পারেন না । বাড়িটি দীপকবাবুর দাদার ৷ তাঁরা মারা যাওয়ার পর ভাইঝিকে দেখেন দীপকবাবু ও তাঁর দিদি ৷

দেখুন ভিডিয়ো

পেটে ভাত নেই । প্রতিবেশী, আত্মীয়রা মাঝে মধ্যে কিছু না কিছু সাহায্য করেন, তাতে বেশিদিন চলে না ৷ দীপকবাবু কুণ্ঠা নিয়েই বলেন, সপ্তাহে রোজ খাবার জোটে না । তিন চারদিন অল্প করে খাবার জোটে । পুজোর সময় স্থানীয় একটি পুজো কমিটি ওই পরিবারের কথা জানতে পেরে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় । কিন্তু সে সহায়তা ক্ষণস্থায়ী । তাই পরিবারটি চাইছে তাদের জন্য কোনও স্থায়ী বন্দোবস্ত করা হোক ।

শারীরিক অবস্থার কারণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংসদ কিংবা বিধায়ক বা কাউন্সিলরের কাছে দরবারও করতে পারেন না দীপকবাবু ৷ রেশন কার্ড থাকলেও রেশন কেনার টাকা নেই । কোন বার্ধক্য ভাতা পান না । ফলে অসহায় হয়েই দিন কাটছে ওই পরিবারের । এমন কী শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও ওষুধ কেনার টাকাও নেই বলে জানিয়েছেন দীপকবাবু ।

দীপকবাবুর পরিবারের কথা জানাজানি হতেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই । স্থানীয় দুর্গাপুজো কমিটি মহিশীলা শিমুলতলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা পরিতোষ পোদ্দার বলেন, "আমরাও এই ঘটনা জেনে চারজন মিলে অর্থ সাহায্য তুলে দিয়ে এসেছি । পাশাপাশি মেয়রকে ফোন করে জানিয়েছি, উনি স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন । অসহায় বৃদ্ধবৃদ্ধাদের সহায়তার জন্য "নমন" প্রকল্পকেও জানানো হয়েছে । "

অন্যদিকে খবর পেয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবী "ফুডম্যান" চন্দ্রশেখর কুন্ডু ও শিক্ষক অভিজিত দেবনাথ নানা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ওই পরিবারের হাতে তুলে দেন ৷ তাঁরা সব সময় ওই পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ৷ স্থানীয় কাউন্সিলর শিবদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, " আমার ওয়ার্ডে অনেক দরিদ্র পরিবার আছে । দীপকবাবুর পরিবারের কথা জানি । দেখি কী ব্যবস্থা করা যায় ।" এদিকে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ।

Last Updated : Oct 13, 2019, 8:26 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details