আসানসোল, 26 জুন : সম্প্রতি অতিবর্ষণে বেআইনি কয়লা খনির খোলামুখ দিয়ে জল ঢুকে গিয়েছিল ইসিএলের (ECL) সোদপুর এলাকার নরসমুদা খনিতে । তারপর থেকে সেই খনিতে উৎপাদনের কাজ শুরু হয়নি । কবে শুরু হবে সেটাও অনিশ্চিত । মনে করা হয়েছিল, ইসিএল বোধহয় এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবে । কিন্তু কোথায় কি ? ইসিএলের সোদপুর এলাকাতেই বেজডি গ্রাম সংলগ্ন জমিতে রয়ে গিয়েছে শতাধিক বেআইনি খুনি মুখ বা র্যাট হোল (Rat hole mines)। যেগুলি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টাই করা হয়নি । আর এই বেআইনি খনি মুখ দিয়ে জল ঢুকলে ইসিএলের অন্ততপক্ষে চারটি খনিতে জল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ জানাচ্ছেন খনি বিশেষজ্ঞরা ।
আসানসোলের কুলটি থানার বেজডি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে বেআইনি কয়লা খাদান । এখনও সেই বেআইনি কয়লা খাদান থেকে কয়লা তোলা হয় এবং সাইকেল করে পাচার হয় । প্রায় শতাধিক কয়লা খাদান রয়েছে এই এলাকায় । যে স্থানে এই র্যাট হোলগুলি গড়ে উঠেছে তার একদিকে রয়েছে বেজডি খনি ৷ আরও এক দিকে রয়েছে পাটমোহনা খনি । দু‘টিই ইসিএলের সোদপুর এলাকার অন্তর্গত । যদি খনি সুড়ঙ্গের সংযোগ ধরা হয় তাহলে কিছুটা দূরে রয়েছে চিনাকুড়ি এক নম্বর ও দুই নম্বর কোলিয়ারি ।
কয়েকদিন আগে সোদপুর এলাকার নরসমুদা খনিতে জল ঢুকে বিপত্তি ঘটেছিল । বেআইনি খনি মুখ দিয়ে জল ঢোকে । শ্রমিকরা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও এখনও পর্যন্ত খনিতে কাজ শুরু করা যায়নি । জলে মেশিনপত্র ডুবে গিয়েছিল । একইভাবে বেজডি এলাকার এই বেআইনি খনি মুখগুলো দিয়ে বেজডি ও পাটমোহনা খনিতে জল ঢুকছে বলে দাবি করছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলি । আগামীদিনে এই দু‘টি খনিতেও বিপদ নেমে আসবে যদি এখনই র্যাট হোলগুলি বন্ধ না করা হয় ।