আসানসোল, 15 এপ্রিল : মদের দোকান বন্ধ ৷ লকডাউনে পানশালাগুলিতেও তালা ৷ কিন্তু, মদের বিক্রি বন্ধ নেই ৷ দ্বিগুণ দামে মদ বিকোচ্ছে ৷ মানুষ তা কিনছেও ৷ মদের দোকানগুলি বন্ধ রেখে শুধু রাজস্বেরই ক্ষতি হল ৷ কারণ, ভিনরাজ্য, জেলা থেকে দেদার মদের আমদানি হচ্ছে আসানসোলে ৷
লকডাউনের জন্য সিল করে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট, বাজার সব কিছুই । নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রির দোকান, সবজি-মাছের দোকানগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে । দিনে মাত্র চার ঘণ্টা মিষ্টি দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে । ছাড় দেওয়া হয়েছে ওষুধের দোকানগুলিকে । কিন্তু বন্ধ পানশালা ও মদের দোকানগুলি । মাঝে একবার নমনীয় ভাব দেখিয়ে অনলাইনের সাহায্যে স্থানীয় স্তরে মদের বিক্রির প্রস্তাব উঠেছিল । কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় । ফলে মদ বিক্রি বন্ধ । কিন্তু আসল চিত্র কি তাই? আসানসোলে মদের দোকান বন্ধ হলেও সুত্রের খবর, দেদার বিকোচ্ছে মদ । ঝাড়খণ্ড ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকে মদ ঢুকছে আসানসোলে । তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে । 550 টাকার মদের বোতল বিক্রি হচ্ছে 950 থেকে 1,100 টাকায় ।
লকডাউনের সীমা বাড়ার পাশাপাশি চোরাই পথে আসা মদের দামও বাড়ছে । বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে যেখানে এত কড়াকড়ি, দুই রাজ্যের কোনওদিকেই কারও যাওয়া-আসা করার অধিকার নেই । সম্পুর্ণ সিল । সেখানে ঝাড়খণ্ড থেকে গোপন পথে মদ ঢুকছে আসানসোলে । লক্ষ্যনীয় বিষয় বিশেষ কিছু ব্র্যান্ডের মদই পাওয়া যাচ্ছে । যেসমস্ত মদের দাম 500 থেকে 550 টাকার মধ্যে, সেই মদই আসছে ঝাড়খণ্ডথেকে বরাকর নদী ডিঙিয়ে ।
সুত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের চিরকুণ্ডা এলাকা থেকেই এই বিপুল পরিমাণে মদ এ রাজ্যে ঢুকছে । এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, পুলিশ জেনেও চুপ করে আছে । শুধু তাই নয়, এই ব্যবসায় নাম লিখিয়েছে প্রতিষ্ঠিত হোটেল মালিক থেকে শুরু করে অনান্য ব্যবসায়ীরাও । অন্যদিকে, কুলটি থানা এলাকাতেই দামোদর নদ পেরিয়ে পুরুলিয়ার দিক থেকেও আসানসোলে মদ ঢুকছে বলে সূত্রের খবর । পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া এলাকা থেকেই এই সরবরাহ চলছে । তবে দামী মদ মিলছে না বিশেষ । সন্দেহ, লকডাউনের সময় যারা পুঁজি দিয়ে বিপুল পরিমাণে মদ তুলে রেখেছিল, তারাই কালোবাজারি করছে বর্তমানে ।
অনেকে বলছেন, দোকান বন্ধ করে রাজ্য সরকার রাজস্বেরই ক্ষতি করছে । বাজারে একইভাবে চলছে মদ বিক্রি । অবশ্য কুলটি থানার পুলিশ কোনও তথ্য মানতে চায়নি । পুলিশের দাবি, কোনও মদ পাচার হচ্ছে না ।