দুর্গাপুর, 1 ডিসেম্বর:কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। ইসিএল-এর কয়লা চুরি কাণ্ডে যখন এই রাজ্যের রাজনৈতিক রাঘব বোয়ালদের নাম জড়িয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেও কয়লা চুরি যে বন্ধ হয়নি তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার। অণ্ডাল থানার ধান্ডারডিহি এলাকায় চলছিল অবৈধ কয়লার কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অণ্ডাল থানার পুলিশ এবং সিআইএসএফ জওয়ানরা হানা দেয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় 20 টন বস্তাবন্দি কয়লা।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, অণ্ডাল এবং পাণ্ডবেশ্বরের একাধিক কোলিয়ারি থেকে কয়লা চুরি করে ওই এলাকায় মজুদ করে রাখা হত। তারপর সেখান থেকে সাইকেলে এবং গাড়িতে করে অণ্ডালের এবং পাণ্ডবেশ্বরে একাধিক ইটভাটায় ও কারখানায় পাচার করা হতো। অবৈধ কয়লা কারবারিদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে অণ্ডাল থানার পুলিশ। কাজোড়া এরিয়ার মাধবপুর কোলিয়ারিতে কয়লা বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয়।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বেশ কিছুদিন ধরে আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমার বেশ কিছু কয়লা খনি থেকে ডিও চালানে বের হওয়া কয়লা থেকে চুরি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পদ। রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুরের বেশ কিছু কয়লা মাফিয়া দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে বসে এই বেআইনি কয়লার কারবারের রাজত্ব শুরু করেছে। এর আগে দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি চাষিপাড়ায় কয়লার যে বেআইনি গোডাউন করা হয়েছিল পুলিশি ধরপাকড়ে তা বন্ধ হয়ে গেল নতুন করে রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুরের বেশ কয়েকজন বেআইনি কয়লা কারবারের সিন্ডিকেট তৈরি করেছে।
পুরুলিয়ার বাসিন্দা অনুপ মাঝি ওরফে লালার দায়িত্বে বেআইনি কয়লা কারবার শুরু হয়। আর কয়লার সেই কালো দাগ গায়ে লেগেছে পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা থেকে পুলিশ অফিসার এমনকী শাসক দলের উচ্চ নেতৃত্বের গায়েও। অভিযোগ কয়লার কালো দাগ মুছে ফেলতে অনেকে রাজনৈতিক শিবির পরিবর্তন করেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারে বারে আসানসোল ও দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে নতুন করে বেআইনি কয়লা কারবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, তা নিয়ে সরব হয়েছেন। আসানসোলের বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল একই ইস্যুতে সরব হয়েছেন বারে বারেই। পুলিশের পক্ষ থেকে যদিও বিষয়টি নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দুর্গাপুরে বসে কারা চালাচ্ছে বেআইনি কয়লার সিন্ডিকেট ? শোনা যাচ্ছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রীতিমতো কার্যালয় খুলে এই সিন্ডিকেটের লোকেরা বেআইনি কয়লার কারবার চালাচ্ছে দিনে দুপুরে।
আরও পড়ুন