দুর্গাপুর, 30 জুলাই: মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী গৃহবধূ ৷ প্রেমিক তাঁকে বারবার হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ৷ গৃহবধূর ছবি থেকে শুরু করে ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি ৷ প্রেমিককে সঙ্গ দেন তাঁর নয়া প্রেমিকাও। বারবার এই ধরনের চাপ দেওয়ায় শেষমেশ চরম পথ বেছে নেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানে কাঁকসায় ৷ মৃতের নাম সঙ্গীতা রায় (30) ৷
সূত্রের খবর, সঙ্গীতা কাঁকসার বামুনাড়ায় কুমোরপাড়ার বাসিন্দা ৷ মাস ছয়েক আগে এলাকার বাসিন্দা অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফেসবুকে তাঁর আলাপ হয় ৷ এরপর এই সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয় ৷ এদিকে, সঙ্গীতার পরিবারের অভিযোগ, সঙ্গীতার আগে স্নেহা নামে এক তরুণীর সঙ্গে অর্ঘ্যর সম্পর্ক ছিল ৷ মাঝে সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হলে ফেসবুকে সঙ্গীতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে অর্ঘ্য ৷ এরপরই গৃহবধূর সঙ্গে ফোনে কথা বলত অর্ঘ্য ৷ দু'জনের মধ্যে ছবির আদানপ্রদান চলত ৷
এর মধ্যে ফের স্নেহার সঙ্গে ফের সম্পর্ক গড়ে ওঠের অর্ঘ্যর ৷ সঙ্গীতার স্বামীর অভিযোগ, এরপর থেকে অর্ঘ্য এবং তাঁর প্রেমিকা স্নেহা দু'জনে সঙ্গীতাকে হুমকি দিতে থাকে ৷ অর্ঘ্য ও সঙ্গীতার সামাজিক মাধ্যমে কথাবার্তা এবং ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় ৷ অভিযোগ, শুক্রবারও সঙ্গীতাকে তাঁর যাবতীয় তথ্য ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখায় অর্ঘ্য ও স্নেহা ৷ সেই মানসিক চাপ নিতে পারেননি গৃহবধূ সঙ্গীতা রায় ৷ তারপরই আত্মঘাতী হন তিনি ৷ শনিবারই সঙ্গীতার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয় ৷ তারই মধ্যে কাঁকসা থানাতেও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় এবং স্নেহা মুখোপাধ্যায়ের নামে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে ৷ তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক অর্ঘ্য ও স্নেহা ৷
আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে তৃণমূল নেতা ও গৃহবধূকে গাছে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ
সঙ্গীতার স্বামী অভিজিৎ রায়ের অভিযোগ, "অর্ঘ্য ও তার প্রেমিকা স্নেহা মুখোপাধ্যায় একসঙ্গে আমার স্ত্রীকে উত্যক্ত করতে থাকে ৷ অর্ঘ্য হুমকি দেন তাঁর কাছে যে ছবি ও ভিডিয়ো আছে, তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন ৷ তাই আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ৷" তিনি আরও জানান, তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে ৷