দুর্গাপুর, 25 ফেব্রুয়ারি : কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ার সারেঙ্গাতে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ বর্তমানে বুদবুদের গলসি এক নম্বর BDO অফিস লাগোয়া পরিত্যক্ত জল ট্যাঙ্কের বেহাল দশার অবস্থা সামনে এল ৷ আশঙ্কা, যে কোনওদিন ভেঙে পড়তে পারে এই ট্যাঙ্ক ৷ আর তাতেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা ৷
জলের ট্যাঙ্কের পিলারগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে ৷ খসে পড়ছে ঢালাইয়ের চাঙড় ৷ বেরিয়ে পড়েছে মরচে ধরা রড ৷ এমনই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে এই জলের ট্যাঙ্ক ৷ বুদবুদ-মানকর রাস্তার পাশেই রয়েছে গলসি এক নম্বর BDO অফিস ৷ রয়েছে ব্লকের একাধিক সরকারি দপ্তর ও BDO-র আবাসন ৷
জানা যায়, 1980 সালে তৈরি হয় জলের ওই ট্যাঙ্ক ৷ মূলত বুদবুদ, মানকর এলাকায় পানীয় জল পরিষেবা দেওয়া হত ৷ কিন্তু, এক দশক আগে ওই ট্যাঙ্ক বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ মানকরে তৈরি নতুন রিজ়ার্ভয়ার থেকে বর্তমানে এলাকায় পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হয় ৷ পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকা ওই জলের ট্যাঙ্কটি নজরদারির অভাবে ভগ্নপ্রায় দশায় বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে ৷ বাঁকুড়ার ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ভাইরাল ভিডিয়ো থেকেই আরও বেশি করে আতঙ্কিত স্থানীয়রা ৷
পরিত্যক্ত জলের ট্যাঙ্ক খুব শীঘ্রই ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়লে BDO অফিসের দু'টো বিল্ডিংয়ের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে ৷ আশঙ্কা রয়েছে প্রাণহানিরও ৷ তাই কোনও অঘটন ঘটার আগে ট্যাঙ্কটিকে পরিকল্পনা করে ভেঙে ফেলা উচিত বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা ৷ বুদবুদ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি রতন সাহা বলেন, "ব্লক অফিসে রোজ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বহু মানুষ আসে ৷ ভয় যে বাঁকুড়ার মতো এখানেও হুড়মুড়িয়ে জলের ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়লে জীবনহানির ঘটনা ঘটবে ৷"
অন্যদিকে, গলসি এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় জানান, "জলের ট্যাঙ্কটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ৷ ভেঙে ফেলাও জরুরি ৷ জেলাশাসক জানিয়েছেন, দ্রুতই এটি ভেঙে ফেলা হবে ৷"