আসানসোল, 1 নভেম্বর: দৈনন্দিন অনিয়মিত লাইফস্টাইল, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন, সাবধান থাকার পাশাপাশি সচেতন হলেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পরেও রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেতে পারেন । যদি স্ট্রোক হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে রোগী সরকারি জেলা হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন তাহলে বিশেষ টেলিমেডিসিনের দ্বারা তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেওয়া সম্ভব । বিনা পয়সাতেই হবে এই চিকিৎসা, জানাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ।
গত 29 অক্টোবর ছিল বিশ্ব স্ট্রোক দিবস । কিন্তু সেদিন রবিবার পড়ায় ছুটি থাকার কারণে বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই স্ট্রোক দিবস পালিত হয় ৷ সাধারণ মানুষকে স্ট্রোক নিয়ে সচেতন করেন আসানসোল জেলা হাসপাতালে সুপার নিখিল চন্দ্র দাস ও স্ট্রোক বিষয়ক আসানসোল জেলা হাসপাতালের নোডাল অফিসার তথা চিকিৎসক শুভজিৎ দত্ত ।
ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসক শুভজিৎ দত্ত স্ট্রোকের খুঁটিনাটি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করলেন । তিনি বলেন, ‘‘স্ট্রোক মূলত দুই প্রকার । একটি ইস্কিমিক স্ট্রোক এবং আরেকটি হিমোরেজিক স্ট্রোক । ইস্কিমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে যদি চার ঘণ্টার মধ্যে রোগী যে কোনও সরকারি হাসপাতালে পৌঁছন তাহলে তাঁকে সরকারি টেলিমেডিসিন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভব ।’’