দুর্গাপুর, 24 অগাস্ট : দীর্ঘ লকডাউনে চেন সিস্টেমে ক্ষতিগ্রস্ত সব ক্ষেত্র । কোরোনা আতঙ্কে বন্ধ বিয়ে, অন্নপ্রাসনের মতো উৎসব-অনুষ্ঠান ৷ বন্ধ হোটেল ও রেস্তরাঁ ৷ রাস্তার পাশের অস্থায়ী ছোটো খাবারের দোকানও 'নেই' হয়ে গিয়েছে ৷ এরই প্রভাব পড়েছে গ্রোসারির পাইকারি ব্যবসায় ৷ আনলক পর্বেও হাল ফেরেনি ৷ এর মধ্যে রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে নতুন করে শুরু হয়েছে সপ্তাহে দুদিনের প্রক্ষিপ্ত লকডাউন ৷ এতে নতুন করে অস্বস্তিতে গ্রোসারির পাইকারি বিক্রেতারা ৷ কিন্তু ঠিক কোন কোন কারণে বিপাকে মুদি সামগ্রী বিক্রির সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য ব্যবসায়ী ?
1. বন্ধ যাবতীয় সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ৷ ফলে ওইসব অনুষ্ঠানের অন্যতম অংশ খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও বন্ধ । ফলে ছোটো-বড় ক্যাটারিং ব্যাবসায়ীদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার মতো অবস্থা ৷ অতএব, চাহিদা কমেছে গ্রোসারির ৷
2. দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল হোটেল-রেস্তরাঁ, শহর ও শহরতলির রাস্তার দু'পাশের অগণিত ফুড কোর্টগুলি । আনলক পর্বে কিছু হোটেল-রেস্তরাঁ খুললেও কোরোনা আতঙ্কে রাস্তায় গ্রাহক প্রায় নেই ৷ ভয়ে বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করেছে সিংহভাগ মানুষ ৷ এর বিরাট প্রভাব পড়েছে গ্রোসারি মার্কেটে ।
3. লকডাউনে অনেকের চাকরি গেছে ৷ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে বহু মানুষের ৷ যাদের তা হয়নি তাদেরও আয় কমেছে । এই অবস্থায় সংসারিক খরচ কমিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ ৷ আগে যিনি যত টাকা গ্রোসারিতে খরচ করতেন এখন তা করছেন না, বা খরচ করতে পারছেন না ৷ এর প্রভাবও পড়েছে গ্রোসারির পাইকারি দোকানগুলিতে ৷ কমেছে বিক্রি ।