পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বিক্রি কমেছে মুদি সামগ্রীর, চিন্তায় দুর্গাপুরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা - grocery sellers

পাড়ার দোকানের প্রভাবও পড়ছে পাইকারি গুদামে ৷ লকডাউনের আগের ধার মেটাচ্ছেন না হোটেল-রেস্তরাঁর মালিকরা ৷ বণিকসভাও বলছে, চরম সংকটে পড়েছেন গ্রোসারির পাইকারি বিক্রেতারা৷

wholesale grocery sellers of Durgapur
গ্রোসারি

By

Published : Aug 24, 2020, 4:59 PM IST

দুর্গাপুর, 24 অগাস্ট : দীর্ঘ লকডাউনে চেন সিস্টেমে ক্ষতিগ্রস্ত সব ক্ষেত্র । কোরোনা আতঙ্কে বন্ধ বিয়ে, অন্নপ্রাসনের মতো উৎসব-অনুষ্ঠান ৷ বন্ধ হোটেল ও রেস্তরাঁ ৷ রাস্তার পাশের অস্থায়ী ছোটো খাবারের দোকানও 'নেই' হয়ে গিয়েছে ৷ এরই প্রভাব পড়েছে গ্রোসারির পাইকারি ব্যবসায় ৷ আনলক পর্বেও হাল ফেরেনি ৷ এর মধ্যে রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে নতুন করে শুরু হয়েছে সপ্তাহে দুদিনের প্রক্ষিপ্ত লকডাউন ৷ এতে নতুন করে অস্বস্তিতে গ্রোসারির পাইকারি বিক্রেতারা ৷ কিন্তু ঠিক কোন কোন কারণে বিপাকে মুদি সামগ্রী বিক্রির সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য ব্যবসায়ী ?

1. বন্ধ যাবতীয় সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ৷ ফলে ওইসব অনুষ্ঠানের অন্যতম অংশ খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও বন্ধ । ফলে ছোটো-বড় ক্যাটারিং ব্যাবসায়ীদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার মতো অবস্থা ৷ অতএব, চাহিদা কমেছে গ্রোসারির ৷

40% পর্যন্ত কমে গিয়েছে পাইকারি গ্রোসারির বিক্রি৷

2. দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল হোটেল-রেস্তরাঁ, শহর ও শহরতলির রাস্তার দু'পাশের অগণিত ফুড কোর্টগুলি । আনলক পর্বে কিছু হোটেল-রেস্তরাঁ খুললেও কোরোনা আতঙ্কে রাস্তায় গ্রাহক প্রায় নেই ৷ ভয়ে বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করেছে সিংহভাগ মানুষ ৷ এর বিরাট প্রভাব পড়েছে গ্রোসারি মার্কেটে ।

3. লকডাউনে অনেকের চাকরি গেছে ৷ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে বহু মানুষের ৷ যাদের তা হয়নি তাদেরও আয় কমেছে । এই অবস্থায় সংসারিক খরচ কমিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ ৷ আগে যিনি যত টাকা গ্রোসারিতে খরচ করতেন এখন তা করছেন না, বা খরচ করতে পারছেন না ৷ এর প্রভাবও পড়েছে গ্রোসারির পাইকারি দোকানগুলিতে ৷ কমেছে বিক্রি ।

অতএব, পাড়ার দোকানের প্রভাবও পড়ছে পাইকারি গুদামে । ফলাফল- পাইকারি বিক্রেতাদের বিক্রি কমে যাওয়া ৷ এইসঙ্গে প্রাক লকডাউন পর্বে যাদের ধারে মাল দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা সেই ধার পরিশোধ করতে পারছে না ৷ এর মধ্যে রয়েছে বহু হোটেল, রেস্তরাঁ, ক্যাটারিং কম্পানি, ছোটো মাঝারি খাবারের দোকান ৷ সব মিলিয়ে চরম বিপাকে দুর্গাপুরের মুদি সামগ্রীর পাইকারি বিক্রেতারা । ব্যবসায়ীদের কথায়, 40 শতাংশ কমেছে বিক্রি ।

দুর্গাপুরের গ্রোসারি সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসায়ী বিজয় আগরওয়াল বলেন, "লকডাউনের আগে অনেককে ধারে মাল দিয়েছি । সেই টাকা আদায় করতে বেগ পেতে হচ্ছে । হোটেল-রেস্তরাঁ মালিকদের বক্তব্য, ব্যবসা হচ্ছে না, তাই টাকা দিতে পারছি না । ক্যাটারিংয়ের মালিকরাও একই কথা বলছেন । এই অবস্থায় মহাজনদের পেমেন্ট করছি পুঁজি ভেঙে।"

দুর্গাপুর বণিকসভার সাধারণ সম্পাদক ভোলা ভগৎ বলেন, "দুর্গাপুরের সব বাজারেই গ্রোসারির পাইকারি বিক্রেতারা বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত । বহু জায়গায় 40% পর্যন্ত বিক্রি কমে গেছে ।"

এই অবস্থায় ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ব্যবসায়ীরা ৷ চাইছেন, তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক ৷ কোরোনামুক্ত হোক রাজ্য-দেশ, দুনিয়া ৷ সেই আশায় রয়েছেন দুর্গাপুরের গ্রোসারির পাইকারি বিক্রেতারা ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details