দম্পতির মৃত্যুতে আত্মীয়দের প্রতিক্রিয়া দুর্গাপুর, 19 মার্চ: রবিবাসরীয় সকালে দুর্গাপুরের কুরুড়িয়াডাঙা মিলনপল্লী এলাকায় বাড়ির ভেতর থেকে একই পরিবারের দুই শিশু-সহ চারজনের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায় (Body Recovered in Durgapur)। জানা গিয়েছে মৃত দম্পতির নাম অমিত কুমার মণ্ডল (35) ও রূপা মণ্ডল (31)। মৃত দুই শিশু নিমিত কুমার মণ্ডল (6) ও নিকিতা মণ্ডল (দেড় বছর)।
এর মধ্যে অমিতবাবুর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং দুই শিশু ও স্ত্রীর মৃতদেহ বাড়ির ভেতরে পড়ে থাকতে দেখা যায় । খবর পেয়ে ডিসিপি পূর্ব কুমার গৌতম-সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ । উদ্ধার হয় অমিতবাবুর হোয়াটসআ্যপ থেকে একটি সুইসাইড নোট । যেখানে স্পষ্ট লেখা আছে, এই মৃত্যুর পিছনে টেটের নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন যুক্ত আছে । এমনকী এই সুইসাইড নোটে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেশ কিছু কথাও লেখা রয়েছে । যদিও ঘটনার পিছনে সঠিক কী কারণ রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি ৷
মৃত অমিতের মা বুলারানি ও মামার বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে বলে জানান ডিসিপি (পূর্ব) কুমার গৌতম । মৃত রূপা মণ্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ, "আমার দিদি, জামাইবাবু ও তাদের ছেলেমেয়েদের নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে সম্পত্তিজনিত কারণে । আমার জামাইবাবু গলায় দড়ির ছাপ দেখলেই বোঝা যাবে এটা আত্মহত্যা নয় খুন । তাঁর হাত বাঁধা, পা গুলো খাটে । সবচেয়ে বড় কথা, সিসিটিভি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে । বাইরের সিসিটিভি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে । জামাইবাবুর মা ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা মিলে এই ঘটনা ঘটাল ।"
উল্লেখ্য, মৃত অমিতবাবুর বাবা বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান । প্রচুর সম্পত্তির মালিক ছিলেন তাঁর বাবা নরেশ কুমার মণ্ডল । জমি-ঘর-বাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নরেশ মণ্ডলের প্রভূত সম্পত্তি নিয়েই যে একসময় বিবাদ বেঁধেছিল সে কথা এই এলাকার অনেকের জানা । তবে ঠিক কী কারণে দুই শিশু-সহ এই চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তা জানতে এখন মরিয়া এলাকার বাসিন্দারা । পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে আসছেন ।
আরও পড়ুন :বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মা ও দুই মেয়ের মৃতদেহ, তদন্তে পুলিশ