আসানসোল, 4 এপ্রিল : তিনি বাঁকুড়ার বিদায়ি সাংসদ। এবার আসানসোলের প্রার্থী। প্রতিপক্ষ বাবুল সুপ্রিয়। তাই, লড়াইটা বেশ কঠিন। তবে, জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মুনমুন সেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই যে তাঁর পছন্দ তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
আগে প্রচারে বেরিয়ে ক্লান্ত হলে মেজাজ দেখাতাম : মুনমুন
আমি আগে কিছু জানতাম না। এখন অনেক কিছু জানি। বাঁকুড়াতে আমায় আদর করে নিয়ে যেত। বলত, এখানে যেতে হবে, ওখানে যেতে হবে। আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে, মেজাজ দেখাতাম। বলে দিতাম, এতক্ষণ এখানে থাকতে পারব না। এটা করব না, ওটা করব না। কিন্তু, পরে বুঝলাম, এটা একটা মিষ্টি, সুন্দর-সংসার। এখানে এসেও আমি দেখলাম, সবাই ওদের মতো।
গতকাল আসানসোলের সালানপুর গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রচারে যান মুনমুন। সেখানে সামডি পঞ্চায়েতের লোহাট, উত্তরামপুর জিৎপুর পঞ্চায়েতের চয়নপুর, আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ছোটো ছোটো সভা করেন। সভামঞ্চ থেকে বলেন, "যখন প্রথমে বাঁকুড়ার প্রার্থী হয়েছিলাম আমি কিছুই জানতাম না। এখন অনেক কিছু জানি। বাঁকুড়াতে আমায় আদর করে নিয়ে যেত। বলত, এখানে যেতে হবে, ওখানে যেতে হবে। আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে, মেজাজ দেখাতাম। বলে দিতাম, এতক্ষণ এখানে থাকতে পারব না। এটা করব না, ওটা করব না। কিন্তু, পরে বুঝলাম, এটা একটা মিষ্টি, সুন্দর-সংসার। এখানে এসেও আমি দেখলাম, সবাই ওদের মতো। সুবিধা ছিল, মমতা ব্যানার্জি অনেক কাজ করেছিলেন বাঁকুড়ায়। আমাদের সবার মাথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "গোটা দেশকে দেখিয়ে দিতে হবে আসানসোলে কত শান্তিপূর্ণ ভোট করে তৃণমূল জিতেছে। দিল্লি দেখবে, গোটা বিশ্ব দেখবে। কারোর সাথে কোনও কারণেই অশান্তি করবে না।”
মুনমুন জানান, তাঁর দুই মেয়ে রিয়া ও রাইমা সেনও আসানসোলে প্রচারে আসবেন। কবে আসবেন, তা ঠিক করবে জেলা নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানান মুনমুন। বলেন, "আমি বাঁকুড়ার জেলাশাসকের থেকে কাজ শিখেছি। এখানেও জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি। বলেছি, একসঙ্গে কাজ করব।"