দুর্গাপুর , 5 মে : পূর্ব বর্ধমান জেলায় ধান কাটার জন্য এসেছিলেন পঞ্জাবের আটজন বাসিন্দা ৷ লকডাউনের কারণে তাঁরা এখানেই আটকে পড়েন । লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা অধৈর্য পড়েন ৷ তাই বাড়ি ফেরার জন্য পায়ে হেঁটেই বর্ধমান থেকে পঞ্জাবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা । পানাগড়ে তাঁদের দেখতে পান স্থানীয়রা ।
মঙ্গলবার কাঁকসা থানা এলাকার পানাগড়ে আজ অচেনা কয়েকজনকে আটজনকে দেখতে পায় স্থানীয়রা ৷ বহিরাগতদের দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়ির কথা জানতে চান ৷ সেই আটজন জানান , তাঁদের বাড়ি পঞ্জাবে । তাঁরা লকডাউনের আগেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় ধান কাটার জন্য এসেছিলেন । কিন্তু তাঁদের ফেরার সময়ে লকডাউন জারি হয় । তার জেরে আটকা পড়ে যান তাঁরা । তাঁদের পরিবার দুশ্চিন্তায় রয়েছে । তাঁদের কাছে যে টাকা পয়সা ছিল তাও প্রায় শেষ হয়ে আসছিল । তাই আর উপায় না দেখে পূর্ব বর্ধমান থেকে পঞ্জাবে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই আটজন । কিন্তু মঙ্গলবার পানাগড়ে তাঁরা আটকা পড়ে যান ৷
বর্ধমান থেকে পায়ে হেঁটে পঞ্জাব,পানাগড়ে আটক 8 শ্রমিক - পানাগড়
লকডাউনের কারণে বর্ধমানে আটকে পড়েছিলেন পঞ্জাবের আটজন শ্রমিক ৷ তাঁরা আজ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করলে পানাগড়ে তাঁদের আটক করা হয় ৷
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সন্দীপ রিঙ্কু মান এই আট জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন । তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান । তারপর তাঁদের পানাগড় গুরুদুয়ারাতে নিয়ে যান । কিন্তু ইতিমধ্যেই গুরুদুয়ারাতে এরকম 31 জন আছেন । তাই গুরুদুয়ারার পাশেই একটি ফাঁকা ঘরে এই আট জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয় ৷ বিনামূল্যে তাঁদের সমস্ত খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । আপাতত লকডাউন না মিটলে এই আটজন কোনওভাবেই পঞ্জাবে যেতে পারবেন না ৷ ততদিন পর্যন্ত তাঁদের যাতে নিরাপদে , সুস্থ রাখা যায় সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্থানীয়রা । শুধু তাই নয় , যে ঘরটিতে এই আট জনকে রাখা হয় ,সেই ঘরকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ছড়ানো হয় ।
লকডাউনে বহু পরিযায়ী শ্রমিকদের পানাগড়ে আটকে পড়তে দেখা গেছে ৷ কাঁকসা থানা থেকে শুরু করে পানাগড়ের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন । তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করতে দেখা গেছে । এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে থেকে মানবিকতার দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন ৷