আসানসোল, 6 জুন: রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ঘনিষ্ঠ তথা আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী শঙ্কর চক্রবর্তীকে নোটিশ পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বেআইনি কয়লা কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই শঙ্কর চক্রবর্তীকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগেও শঙ্কর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছিল। কিন্তু শরীর খারাপের অজুহাতে তিনি ইডি হাজিরা এড়িয়েছিলেন। এবার কী করেন শঙ্কর চক্রবর্তী, সেটাই দেখার ৷
কয়লা কাণ্ডে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদের আগেই আসানসোলে তাঁর ঘনিষ্ঠ শঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সূত্রের খবর, গতকালই সেই নোটিশ পেয়েছেন শঙ্কর চক্রবর্তী। মঙ্গলবার আসানসোলের গোপালপুর গ্রামে শঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি নেই এবং অসুস্থ। গতবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শঙ্করবাবু ইডির হাজিরা এড়িয়েছিলেন। কিন্তু এবার ইডির মুখোমুখি হবেন শঙ্কর চক্রবর্তী। এমনটাই জানিয়েছেন শঙ্করবাবুর স্ত্রী তথা আসানসোল পৌরনিগমের 55 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপা চক্রবর্তী।
ক্যামেরার সামনে সরাসরি কিছু বলতে না-চাইলেও দীপা চক্রবর্তী জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন শঙ্কর চক্রবর্তী। তাঁকে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ চার কপি ছবি ও বিগত 10 বছরের আয়-ব্যয়ের হিসেব চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মেইল মারফত। জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে মলয় ঘটকের ঘনিষ্ঠ এই শঙ্কর চক্রবর্তী। মলয় ঘটক যখন আসানসোল আদালতের আইনজীবী ছিলেন, তখন শঙ্কর চক্রবর্তী আদালতের মুহুরী ছিলেন। মলয় ঘটকের কাজকর্ম সামলাতেন শঙ্কর। পরবর্তীকালে মলয় ঘটক রাজনীতিতে এলে শঙ্কর চক্রবর্তী তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে যান।
আরও পড়ুন:শারীরিক অসুস্থতা নয়, ইডির হাজিরা এড়ানোর কারণ অন্যকিছু; দাবি মলয়ের
পরিবর্তনের পর মলয় ঘটক রাজ্যের মন্ত্রী হন। তারপর থেকে মন্ত্রীর আসানসোলের কার্যালয়ে কাজকর্ম দেখতেন শঙ্কর। মন্ত্রীর বাড়ির অন্দরমহলে শঙ্করের অবাধ যাতায়াত ছিল। নথিপত্র থেকে শুরু করে মন্ত্রীর অনুষ্ঠান সবই শঙ্করের নখদর্পণে ছিল। শঙ্কর চক্রবর্তী সরাসরি সেভাবে রাজনীতি না-করলেও তাঁর স্ত্রী দীপা চক্রবর্তী দু'বারের কাউন্সিলর। কয়লা কাণ্ডে এবার এই শঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় ইডি।