দুর্গাপুর, 19 মার্চ: দুুর্গাপুরে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী এবং তাঁর স্ত্রী ও 2 সন্তানের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার নয়া তথ্য ৷ মৃত ব্যাংক কর্মী অমিত কুমার মণ্ডলের সোশাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নয়া তথ্য জানতে পারল পুলিশ ৷ সোশাল মিডিয়া পোস্টে তাঁর মা, দিদি এবং মামার বাড়ির কয়েকজনকে তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন ৷ হোয়াটসঅ্যাপেও সেই কথা উল্লেখ করেছেন ৷ যেখানে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের এই পরিণতির জন্য দায়ী মা বুলারানি মণ্ডল, দিদি বর্ষা এবং তাঁর স্বামী কৃষ্ণ ৷ সেই সঙ্গে মামার বাড়ির কয়েকজনের নাম সোশাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন তিনি ৷ ফরেনসিক দলও এদিন সেখানে যায় তদন্তের জন্য ৷
রবিবার সকালে অমিতের (35) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ঘরের মধ্যে তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (31), ছেলে নিমিত (6) এবং দেড় বছরের মেয়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সোশাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপের পারিবারিক গ্রুপে অমিত আত্মহত্যার কথা লিখেছিলেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অমিতের মোবাইল ফোন পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে ৷ সেখানেই সোশাল মিডিয়া পোস্টে তাঁর মা, দিদি এবং মামার বাড়ির কয়েকজনকে তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন ৷ এদিনের ঘটনায় ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে যায় ৷ তাঁরা সেখান থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন ৷
পাশাপাশি, মামার বাড়ির 4 জনের বিরুদ্ধে টেট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও সোশাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন অমিত ৷ অভিযোগ করেছেন, টেট দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাথমিকের চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা ৷ সেই পোস্টে সিবিআই-কে ট্যাগ করেছেন অমিত ৷ সেই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি ৷ তবে পুলিশ সূত্রে খবর, যে সময়ে মামার বাড়ির সদস্যদের স্কুলের চাকরি পাওয়ার কথা অমিত সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন ৷ ঠিক সেই সময় তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডলও চাকরি পেয়েছিলেন ৷