দুর্গাপুর, 27 মার্চ : দুর্গাপুর নগর নিগমের 21 নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতার উদ্যোগে আজ সরকারি বাসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল প্রায় 400 জন শ্রমিক-কর্মচারি ৷ কোরোনার জন্য লকডাউনের জেরে আটকে পড়ে মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে আসা রাজমিস্ত্রি ও তাদের সাহায্যকারীরা ৷ আজ তারা সরকারি বাসে বিনা খরচে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷
কাউন্সিলরের প্রচেষ্টায় সরকারি বাসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল প্রায় 400 শ্রমিক - sbstc
কোরোনার জন্য লকডাউনের জেরে আটকে পড়ে মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে আসা রাজমিস্ত্রি ও তাদের সাহায্যকারীরা ৷ আজ তারা সরকারি বাসে বিনা খরচে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ দুর্গাপুর নগর নিগমের 21 নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতার উদ্যোগেই আজ এই কাজ সম্ভব হল ৷
কোরোনা আতঙ্কের জেরে লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ৷ এরপরই দুর্গাপুরে থাকা মুর্শিদাবাদের প্রায় 400 জন রাজমিস্ত্রি ও তাদের সাহায্যকারিরা বিপাকে পড়ে । একদিকে বন্ধ হয়ে যায় কাজ, অন্যদিকে যে ঘরে তারা ভাড়া থাকত সেই বাড়িরমালিকও তাদেরকে প্রতিনিয়ত চাপ দিতে থাকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য । খাবারের সংকট দেখা দেয় । এরকম দুরবস্থায় দুর্গাপুর নগর নিগমের 21 নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা সুস্মিতা ভুইয়ের সাথে যোগাযোগ করে তারা ৷ ঘটনায় পাশে দাঁড়ান সুস্মিতা দেবী ৷ যোগাযোগ করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে ৷ শুভেন্দু বাবুর নির্দেশে আজ সকাল থেকে এই 400 জন কর্মীকে দুর্গাপুরের ট্রাঙ্ক রোড SBSTC ডিপো থেকে তাদের বাসে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিপুর হাসপাতালে । সেখানেই তাদের প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে এবং তারপরেই তাদেরকে গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুস্মিতা ভুই ।
লকডাউনে গৃহবন্দী দশায় যন্ত্রণার কথা শোনা গেল এক ভিন জেলার শ্রমিকের মুখেই ৷ রাজমিস্ত্রি আজাবুল শেখ বলেন," সুস্মিতা দেবীকে ধন্যবাদ । আমাদের পরিবারের লোকেরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিল । আর আমরাও এখানে খুব কষ্টে ছিলাম । আমরা আজ বাড়ি ফিরতে পারব । তবে তার আগে সুস্মিতা দেবীর কথা অনুযায়ী আমরা জঙ্গিপুর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে তারপর যে যার বাড়ি যাব । "