দুর্গাপুর, 23 এপ্রিল : মাছের আমদানি কম। এই যুক্তিতে আজ থেকে বেনাচিতি বাজারের পাইকারি মাছের দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল ।
দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে মাছের পাইকারি বাজার রয়েছে । সেখানে ভোরবেলা থেকে খুচরো বিক্রেতাদের কাতারে কাতারে ভিড় হয় । শুধুমাত্র দুর্গাপুরের খুচরো ব্যবসায়ীরা নন, বিভিন্ন জায়গায় মাছের আড়ত বন্ধ থাকার কারণে আসানসোল, রানিগঞ্জ, পাণ্ডবেশ্বর বহু এলাকা থেকে খুচরো মাছের ব্যবসায়ীরা এসে বেনাচিতিতে ভিড় করেছিলেন । নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না তাঁদের ভিড় । শেষে পাইকারি মাছ বিক্রেতারা ঠিক করেন, 3 মে পর্যন্ত তাঁরা আর আড়ত খুলবেন না । কিন্তু তাঁরা কী কারণ দেখাবেন ? মাছের আমদানি ঠিকমতো হচ্ছে না । তাই বন্ধ রাখা হচ্ছে পাইকারি মাছ বাজার, এমনটাই জানান বিক্রেতারা ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই মাছের বাজার একেবারে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ার কারণে পুলিশের ওপর চাপ বাড়ছিল । দফায় দফায় মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমাধান সূত্র বের করার প্রচেষ্টা চালায় পুলিশ । কিন্তু সমাধান সূত্র বের হয়নি । কারণ পাইকারি মাছের বাজারে বাজার খুললেই প্রচুর ক্রেতা ভিড় করছিলেন । মানা হচ্ছিল না সামাজিক দূরত্ব । মাছের পাইকারি ব্যবসায়ীরাও ভয়ে ছিলেন । কারণ বহু মানুষের সংস্পর্শে আসছিলেন তাঁরাও । যে কোনও মুহূর্তে মাছ বাজার থেকে কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল । আজ থেকে সেই পাইকারি মাছ বাজার বন্ধ বলে ঘোষণা করা হল । তবে দুর্গাপুরে মাছের যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে এই আড়ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
এর আগেও অনেকবার বেনাচিতি বাজারের মাছের আড়তের মালিকরা ব্যবসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু পুলিশের তরফে বারবার তাঁদের বাজার বন্ধ না রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা । তা হলে দুর্গাপুরে মাছের যোগানে ঘাটতি হতে পারে । এইবার মাছের পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে দিলেন । এখন দেখার মাছের যোগান ঠিক রাখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।
বেনাচিতি পাইকারি মাছ বিক্রির যে বাজার অত্যন্ত ঘিঞ্জি । সমাধান করার অনেক প্রচেষ্টা চালায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ । কিন্তু এখনও কোনও পথ বের হয়নি । জনজীবনে এর কি কোনও প্রভাব পড়বে ? যদিও অনেক মানুষ বললেন, “লকডাউন চলাকালীন মাছ না খেলাম । আগে সুস্থ থাকা প্রয়োজন ।”