দুর্গাপুর, ১১ মে: হাসপাতালের বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাবে খাবি খাচ্ছেন করোনা আক্রান্তরা । সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে অক্সিজেন নিয়ে চূড়ান্ত কালোবাজারি । এই অবস্থায় একটি বেসরকারি কারখানায় অভিযান চালিয়ে 200টি অক্সিজেন সিলিন্ডার আদায় করল জালা প্রশাসন ৷
বেশ কিছুদিন ধরেই দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি কারখানায় অক্সিজেনের কালোবাজারি চলার খবর মিলছিল ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যার দিকে আচমকা অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন । ওই বেসরকারি কারখানায় দরকারের থেকেও দু’শোর বেশি অক্সিজেন মজুত ছিল বলে অভিযোগ ।
মঙ্গলবার সকালে আচমকা ওই বেসরকারি কারখানায় হানা দেয় জেলাশাসক এবং প্রশাসন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলাশাসককে এবং প্রশাসনকে কালোবাজারি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে করা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন । এরপর থেকে অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে আরও তৎপর হয় জেলা প্রশাসন । মঙ্গলবার সকালে আচমকা ওই বেসরকারি কারখানায় পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক বিভু গোয়েল, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অর্ঘ্য প্রসূন কাজি, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মণ্ডল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় ওই কারখানায় । ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলাশাসক কথা বলেন । অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি করার জন্য কারখানার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয় ।
এরপরই ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ জেলাশাসককে জানান, তাদের কাছে থাকা 200টি অক্সিজেন সিলিন্ডার তারা স্বেচ্ছায় দিতে চান পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে । জেলাশাসক বিভু গোয়েল জানিয়েছেন, "ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানায় ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলিকে চিকিৎসায় ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারে কনভার্ট করে হাসপাতালগুলিকে দেবে । যার ফলে কিছুটা হলেও অক্সিজেন ও সিলিন্ডারের ঘাটতি পূরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।" অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি কারখানাও সিলিন্ডার দেওয়ার কথা বলেছেন বলেও জানান জেলাশাসক ।
আরও পড়ুন :সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার অনুরোধ জানাতে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ জিতেন্দ্র তিওয়ারির