আসানসোল , 20 ডিসেম্বর : হাতে আর দেড় বছর আছে । তারপর দিদি পুরোপুরি মুছে সাফ হয়ে যাবে । অমিত শাহ জোর করেই এ রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং NRC নিয়ে আসবেন । আজ আসানসোলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে BJP-র সভা থেকে একথা বলে মমতাকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ ।
আসানসোলের ঊষাগ্রাম মোড় থেকে গির্জা মোড় অবধি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের স্বপক্ষে মিছিলের পরিকল্পনা ছিল BJP-র । আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এবং দুর্গাপুরের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার উপস্থিত থাকার কথা ছিল । কিন্তু মিছিলের অনুমতি দিল না পুলিশ । ঊষাগ্রাম এলাকায় আজ সকাল থেকে পুলিশ ব্যারিকেড করে রাখে । আশঙ্কা ছিল BJP নেতা কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগোতে গেলে অশান্তি ছড়াতে পারে । কিন্তু সেসব কিছুই ঘটল না । বরং BJP কালিপাহাড়ি মোড় থেকে মিছিল শুরু করে ঊষাগ্রাম মোড়ে এসে মিছিল শেষ করে দেয় এবং ব্যারিকেডের আগেই মিছিল থেমে যায় । BJP কর্মীরা বসে পড়েন । সেখানে একটি পথসভাও অনুষ্ঠিত হয় । কার্যত পুলিশের সামনে পরিকল্পনার বদল করে BJP । জনসভা সফল করে ।
গতকালই আসানসোল মন্ডলের BJP সভাপতিকে চিঠি দিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার জানিয়েছিলেন BJP-র মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না । এদিন তাই ঊষাগ্রাম অঞ্চলে ব্যারিকেড করে পুলিশ । কিন্তু BJP আলাদা কৌশল অবলম্বন করে । আসানসোলের একেবারে শুরুতে কালিপাহাড়ি মোড়ে BJP নেতা কর্মীরা জমায়েত হয় । সেখানে আসেন বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষ । মিছিলে অংশ নেন দিলীপ ঘোষ । এরপর কালিপাহাড়ি মোড় থেকে মিছিল শুরু হয় । ঊষাগ্রাম পর্যন্ত আসে মিছিল এবং যেখানে পুলিশের ব্যারিকেড করা ছিল ঠিক সেখানেই মিছিলকে থামিয়ে দেওয়া হয় । দিলীপ ঘোষ বক্তব্য দেন । গোটা কর্মসূচি সফল হয় । পুলিশ ব্যারিকেডের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকে ।
এদিন দিলীপ ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বলেন, " বাংলাদেশের প্রায় 70 লাখ অনুপ্রবেশকারী পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে । যাদের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী ভোটে জিতেছেন । তিনি এ রাজ্যে NRC ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকরী করতে চাইছেন না । তবে অমিত শাহ জোর করেই এ রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং NRC নিয়ে আসবে । বাংলাদেশের উগ্রপন্থীরা এ রাজ্যে রয়েছে তাদের বরদাস্ত করা হবে না । পশ্চিমবঙ্গের যেখানে অশান্তি হচ্ছে সেখানেই ওই বাংলাদেশীয় উগ্রপন্থীদের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে । দিদি স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার । তিনি তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না । তাই তিনি পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন । "