সরকারি আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি সাজাপ্রাপ্ত দোষীদের আসানসোল, 2 সেপ্টেম্বর: সাজা ঘোষণার পরেই সরকারি আইনজীবীকে প্রাণে মারার হুমকি দোষীদের ৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোল এনডিপিএস আদালতে ৷ চলতি বছরেই গাঁজা পাচারের মামলায় 5 জনকে গ্রেফতার করেছিল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ৷ শনিবার ধৃতদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ৷ অভিযোগ আদালতের রায়ের পর বাইরে বেরিয়ে সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা ৷ যদিও, সোমনাথবাবু বিষয়টিকে তেমন আমল দিতে চাননি ৷
আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানিয়েছে, গত জুন মাসে গাঁজা পাচার করার সময় 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ আজগর খান, রিয়াজ হাইদার, ফইজ হাইদার, মহম্মদ আজাদ এবং গিয়াসউদ্দিন খানকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ধৃতরা ধাদকা, রেলপার, খান পট্টি ও ঝোপড় পট্টি এলাকার বাসিন্দা ৷ আসানসোলের এনডিপিএস আদালতে এই মামলার শুনানি চলছিল ৷ গত বুধবার সাক্ষ্য এবং নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক এই পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷ শুক্রবার এই 5 জনের সাজা ঘোষণা হয় ৷
আজগর খান এবং রিয়াজ হাইদারকে 10 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও 1 লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ ফাইজ হাইদার এবং মহম্মদ আজাদকে 12 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও 1 লক্ষ টাকা জরিমানা এবং গিয়াসউদ্দিন খানকে 14 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও 1 লক্ষ 20 হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক ৷ সাজা শোনানোর পরেই আসানসোল আদালত চত্বরে ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায় ৷ অভিযোগ সেই সময়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজকে মারার হুমকি দেন ৷
আরও পড়ুন:নাবালিকার যৌন নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত সৎ বাবার 20 বছরের কারাদণ্ড
এর পরেই আদালত চত্বরে হইচই শুরু হয়ে যায় ৷ পুলিশ কোনওভাবে আসামীদের টেনে নিয়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে ৷ তবে, হুমকি প্রসঙ্গে বিশেষ আমল দিতে নারাজ সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ ৷ তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দিয়েছে ৷ সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, "বিচার হওয়ার পর বিচারক যখন নেমে গেলেন এবং এজলাস থেকে আসামীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন তারা আমাকে হিন্দিতে বলে, ‘তোমাকে প্রথমে মারব’ ৷ এখন কেউ বলতেই পারে এটা ৷ তবে এ বিষয়ে জবাব দিতেই রুচিতে বাঁধে ৷ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে একজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৷ তাদের যা আইনগত প্রক্রিয়া সেটা করুক ৷ আমাকে মেরে কী হবে ?"
