দুর্গাপুর, 5 জুন :মেলেনি ভ্যাকসিন, তাও প্রথম ডোজের টিকাকরণের সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন দুর্গাপুরের রেখা দে ৷ একই ঘটনা ঘটেছে তাঁর ভাইপো আবির দের ক্ষেত্রেও । সৌজন্যে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ।
দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর মারকুনির বাসিন্দা রেখা দে ও তাঁর ভাইপো আবির দে ৷ বেশ কয়েকদিন ধরে মহকুমা হাসপাতালে প্রথম ভ্যাকসিনের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন এনারা ৷ লাইনেও দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু মেলেনি প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন । চলতি মাসের এক তারিখে লম্বা লাইনে দাঁড়ানর পর শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেখা দে কে জানান, আধার কার্ডের জেরক্স জমা দিয়ে যান, ফোন করে ডেকে নেওয়া হবে । এরপর তিন তারিখ রেখা দে ও তাঁর ভাইপো আবির দের মোবাইলে মেসেজ আসে ভ্যাকসিন সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ অথচ ভ্যাকসিনই পাননি তাঁরা ।
এই দুই জনের প্রশ্ন, তাহলে তাঁদের ভ্যাকসিন কোথায় গেল? ভ্যাকসিন নিয়ে চরম দুর্নীতির অভিযোগ রেখাদেবীর গলায় । প্রশ্ন উঠছে রেখা দে ও আবির দের ভ্যাকসিন কোথায় গেল? কারণ যখন তাঁরা কোনও কোনও ভ্যাকসিন দেননি, তখন সরকারী হাসপাতাল থেকে কীভাবে এই দু‘জনের আধার কার্ডে ভ্যাকসিন ইস্যু হয়ে গেল? কীভাবেই বা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেবার মেসেজ তাঁদের নম্বরে এসে পৌঁছাল ?
ভ্যাকসিন না পেয়েও মিলল প্রথম ডোজের সার্টিফিকেট আরও পড়ুন :অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ ঘিরে সংঘর্ষে উত্তপ্ত দুর্গাপুর
অন্যদিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মণ্ডল যাবতীয় দায় এড়িয়ে গিয়েছেন । দিনকয়েক আগে ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার, দুর্গাপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার এক আধিকারিককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ । দুর্গাপুরের এই ঘটনায় গ্রহীতাদের ভ্যাকসিন নিয়ে চরম দুর্নীতির অভিযোগে সিলমোহর দিল বলে মনে করা হচ্ছে ।